চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। তাই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ইলিশের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জুন মাসে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেন এবং মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাবের বিষয়টিতে প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি প্রদান করেন। মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখার স্মারকে গত ২৬ জুন এই সংক্রান্ত চিঠি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চাঁদপুরের ডিসি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব বরাবর সদয় জ্ঞাতার্থে পাঠান জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। চিঠিতে বলা হয়, চাঁদপুরের ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা ক্রেতার নাগালের বাহিরে।
ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ জনসাধারণের ক্রয় সীমার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে সেহেতু কেবলমাত্র জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুরসহ দেশের ১০-১২টি জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে এবং ক্রয়-বিক্রি হয়। আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি যাতে ইলিশের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ইলিশের দাম যেন সিন্ডিকেটের খপ্পরে না পড়ে এবং উচ্চমূল্য না হয়।’