কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে পড়েছে ৫০ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশা এই ৫০ কিলোমিটারের। পিচ উঠে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এ অবস্থায় এবার ঈদযাত্রায় মহাসড়কটিতে যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ইতোমধ্যে বেশি নাজুক অংশগুলোতে সংস্কার শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। জানা যায়, এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিলেট-চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা, কুমিল্লা-সিলেট রুটে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের সরাইল-বিশ্বরোড মোড়, ঘাটুরা, পুনিয়াউট, রাধিকা, সুলতানপুর ও ধরখার এলাকায় কমপক্ষে তিন কিলোমিটারে অনেক আগেই পিচ উঠে গেছে। এ অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। এখানে প্রায়ই বিভিন্ন পরিবহন ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়। পাশাপাশি ধীরগতিতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দেখা দেয় যানজন। ঈদযাত্রায় যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সড়কের যাত্রীদের একদিকে যেমন ভোগান্তি বাড়বে অপরদিকে নষ্ট হবে সময়। এদিকে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেড। নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ সড়কের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের বাসিন্দা আরমান জানান, ঘাটুরা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত অংশটুকু দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। সড়কের নির্মাণ কাজের জন্য ধুলাবালুতে একাকার হয়ে আছে পুরো এলাকা। স্থানীয়দের অনেকে ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, খানাখন্দের কারণে প্রায়ই গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজে যত বিলম্ব হচ্ছে, মানুষের দুর্ভোগ ততই বাড়ছে। এবার ঈদযাত্রায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হবে জানান তিনি। মামুন মিয়া নামে একজন ট্রাকচালক জানান, গতি কমিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এতে গাড়ির জট লেগে যায়। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, বেহাল অংশগুলো আমরা মেরামত শুরু করেছি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটুরা এলাকায় নির্মাণাধীন সড়কের একটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।