রাঙামাটিতে এবার চড়া ঈদ বাজার। সবার কাপড় বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে প্রায় দাম দ্বিগুণ। তবুও থেমে নেই বেচাকেনা। আমনে ঈদ, দাম যাই হোক নতুন কাপড় কিনতেই হবে। এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে শপিংমলগুলো। চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম- তাই দাম একটু বেশি দাবি ব্যবসায়ীদের। রাঙামাটি শহরের বনরূপা, রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ির মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাঙামাটির মার্কেটগুলো ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি পণ্যের সঙ্গে স্থান পেয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তৈরি বস্ত্র ও অলঙ্কার। কাপড় দেশি কিন্তু চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের বলে। দামও রাখা হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। প্রতিটি ভারতীয় নামের ড্রেস সাড়ে ৩ হাজার থেকে শুরু করে বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ হাজার পর্যন্ত। একই চিত্র বাচ্চাদের কাপড়ের ক্ষেত্রেও। ২ হাজার টাকার নিচে নেই তাদের কোনো কাপড়। একই অবস্থা ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট আর পাঞ্জাবির। সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা মাহামুদুল হাসান বলেন, রোজার আগে যে পাঞ্জাবির দাম আড়াই হাজার টাকা ছিল। এখন সেগুলা ৪ হাজার টাকা। সঙ্গে আছে ভ্যাটবাণিজ্য। প্রতিটি পণ্যে ভ্যাট দিচ্ছি কিন্তু কাকে কোথায় দিচ্ছি জানি না। এগুলো প্রশাসনের তদারকি করা প্রয়োজন। একই অভিযোগ শাহেদা বেগমের। তিনি বলেন, দুই বছরের বাচ্চার কাপড়ের দাম আকাশ সমান। আর ১০ বছরের মেয়ের বাচ্চার কাপড় নাকি ৬ হাজার টাকা। ফিক্সড প্রাইজ আর সঙ্গে ভ্যাট। কোন কাপড়ে কত টাকা ভ্যাট তা-ও নির্ধারণ করা নেই। এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। নিত্যপণ্যসহ ঈদ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নেমেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবুও নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার বলছেন ভোক্তারা।