ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে ৭ জুন। ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আজ। গতকাল ছিল শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঢিলেঢালা কার্যক্রম দেখা গেছে। গতকাল সচিবালয়ে দেখা যায়, অনেকেই যথাসময়ে অফিসে এলেও দুপুরের মধ্যেই ধরেছেন বাড়ির পথ। অনেকে হাজিরা দিয়েই বের হয়েছেন। বিভিন্ন অফিসে কাজের গতি নেই বললেই চলে। জনপ্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, অনেকের সাপোর্টিং স্টাফ চলে গেছেন। তাদের আটকিয়েও রাখা যায় না। এতে মনে হয় কাজের গতি কম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত; খাদ্য; ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, অন্য দিনের চেয়ে উপস্থিতি কম, দুপুরের পর আরও কম মনে হয়েছে। সচিবালয়ের ভিতরেও গাড়ির ভিড় ছিল না। একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, অনেকেই ছুটি নিতে পারেন। আবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস একটু ঢিলেঢালা যায়। কারণ অনেকেই ব্যাগ গুছিয়ে বের হন, অফিস করে বাড়ির পথ ধরেন।
ছুটি শেষে ১৫ জুন অফিস খুলবে। ইতোমধ্যে ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। শেষ কর্মদিবসে সড়কে ভিড় বাড়বে মনে করে যারা অফিস করেছেন তারা আগেভাগেই বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টানা ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতি) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।