বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের ভেষজ বাগান প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে। গত ১৫ মে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রকমারি নগর পরিক্রমা পাতায় ‘অবহেলায় রমেক হাসপাতালের ভেষজ বাগান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি চোখে পড়ে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সানি বেসিকের পরিচালক কৃষি ও পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট জামশেদের। জামশেদের ব্যতিক্রমধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘একদিনের স্বেচ্ছাসেবী উদ্যান কর্মসূচি’। তারা আসন্ন বিশ্ব পরিবেশ দিবস সামনে রেখে গত শনিবার ‘একদিনের স্বেচ্ছাসেবী উদ্যান কর্মসূচি’ সম্পন্ন করেন। এর অংশ হিসেবে জামশেদ প্রায় ৩০ প্রজাতির ঔষধি গাছ ভেষজ বাগানে লাগান। এদিন দুপুরে রমেক হাসপাতালের ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাগান পুনরুজ্জীবনের কাজের উদ্বোধন করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, জামশেদসহ হাসপাতাল ও কলেজের কর্মকর্তারা। এদিন অর্জুন, অশোক, বসাক, হরীতকী, আমলকী, বহেরা, শতমূল, কাঠবাদামসহ ৩০ প্রজাতির ৫০টি গাছের চারা লাগানো হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভেষজ বাগানটি অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল। সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এটি অনেকের নজরে আসে। ভেষজ বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বাগানের গাছ শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। তারা এখানে এসে গাছের পরিচিতি পাবেন। সেই সঙ্গে পাবেন নির্মল পরিবেশ।
অ্যাডভোকেট জামশেদ বলেন, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের হাসপাতালগুলোতে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব পরিকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। একটি সুস্থ পরিবেশ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করে এবং আমাদের প্রাকৃতিক ওষুধের উৎসের সঙ্গে সংযোগ ঘটায়। এ মডেল প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুরূপ পরিবেশ পুনর্বাসন কর্মসূচির অনুপ্রেরণা জোগাবে।
উল্লেখ্য, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেষজ বাগান ২০০২-০৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচির আওতায় করা হয়। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২০ ফুট প্রস্থের বাগানটির অবস্থান হাসপাতাল ও কলেজ চত্বরের মাঝামাঝি জায়গায়।