ইসলামী আন্দোলনের আমির ও পীর চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবে। তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো তারা করবে। কিন্তু একটি দল এ বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়া করে তাদের ইতিহাস ও বর্তমান কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ জানে। গতকাল বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে শহরের আর্টগ্যালারি ৭১ অপরাজেয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজ উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহম্মাদ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহাবুবুর রহমান নাহিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক আন্দোলনের তথ্য প্রযুক্তি ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান প্রমুখ।
পীর চরমোনাই বলেন, জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়ে অনেকেই এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। অনেক ছেলে অন্ধ হয়ে গেছে। আগে তাদের দেখতে হবে, সংস্কার করতে হবে। কিন্তু ইদানীং বিচার ও সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনের কথা বেশি শুনি।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাজ করতে নানা বাধা আসছে দাবি করে তিনি বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আক্ষেপ করে বলেছেন, দেশি ও বেদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে কাজ করতে পারছি না। সব দিক দিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।
আগামী নির্বাচনে নিজের দলের প্রতি মানুষের ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছি। দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র তৈরি হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।