দেশে চার কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে পুরোপুরি কিডনি বিকল হয়ে মারা যাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার। কিডনি বিকল হলে সর্বোত্তম চিকিৎসা কিডনি প্রতিস্থাপন করা। তবে কিডনি বিকল হওয়ার তুলনায় দেশে কিডনি দাতার অভাব বেশ প্রকট। তাই মরণোত্তর অঙ্গদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে ইসলামিক স্কলারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী পঞ্চম বাংলাদেশ-কোরিয়া ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, কিডনি, ফুসফুস, লিভার, হৃৎপিণ্ড এবং বিভিন্ন টিস্যু যেমন- কর্নিয়া, হৃৎপিণ্ডের ভাল্ভ, মেরুমজ্জা, চামড়া ইত্যাদি সাফল্যের সঙ্গে প্রতিস্থাপন সম্ভব।
চিকিৎসাব্যবস্থার যে উন্নতি হচ্ছে তা শরিয়তসম্মত। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে এবং অঙ্গ প্রদান করার পর দাতা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হলে ইসলামে অঙ্গদানে কোনো বাধা নেই। তবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
মরণোত্তর অঙ্গ এবং টিস্যু প্রতিস্থাপন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সম্মেলনে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং এই পদ্ধতি বাংলাদেশে ধারাবাহিক প্রয়োগের ব্যাপারে আলোচনাসহ হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব বৈজ্ঞানিক সেশন পরিচালনা করবেন দেশবিদেশের খ্যাতনামা কিডনি রোগ ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞরা।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন রোটারি ক্লাব ঢাকা উত্তরের সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, মুফতি আবদুল আজিজ প্রমুখ।