রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাম আসা দুই নারী শিক্ষার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে র্যাব। আদালত বলেছেন, দুই নারী শিক্ষার্থীকে হাজির করতে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সেই দুই শিক্ষার্থীকে ধরতে কাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম। তিনি জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অন্যতম দুই আসামি মেহেরাজ ইসলাম ও হৃদয় মিয়াজি। গতকাল পারভেজ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিলেন। এর আগে, দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।
এদিকে, দুপুরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সিএমএম কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ করেছে তার সহপাঠীরা। পারভেজ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, পারভেজকে যারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের অনেকে এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা। এ ছাড়া শিক্ষাঙ্গনে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপও দাবি করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়। এ ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।