বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে আমরা তথ্য পেয়েছি যে, পাঁচতলা বাড়ির মালিকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছিলেন। এমনকি প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বাড়িতেও ছিল তিনটি কার্ড। গতকাল রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে ‘টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার।
পরে মুক্ত আলোচনায় ছাত্র প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ১ কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ড কমানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের ওপর আস্থা কখনোই আসবে না, যখন মানুষ দেখবে যে সবকিছুতে আছে দুর্বৃত্তায়ন। সে জন্য আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের করে সঠিক পর্যায়ে আনতে চাই।’
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, এখন থেকে নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই টিসিবির কার্ড পাবে। টিসিবির কেনাকাটায় বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। যাতে সরকার ভর্তুকি দেয় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা। টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ বলেন, ভর্তুকি মূল্যে ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদির পাশাপাশি কার্ডধারী পরিবারকে ভবিষ্যতে সাবানও দেওয়া হবে।