পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, টাউন ইম্প্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বড় পরিসরের পরিবর্তন দরকার। নতুন বাংলাদেশ নতুন আলোকে গড়ে তোলার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অনেক। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এবং যাদের একান্তই আবাসনের প্রয়োজন তাদের জন্যও রাজউকের কার্যক্রম চালানো উচিত। গতকাল রাজউক অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজউককে ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগোতে হবে। এস্টেট শাখা ও পরিকল্পনা শাখাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। রাজউকের ওপর চাপ কমাতে কিছু কাজ আউটসোর্সিং করা যেতে পারে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজউক অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আমরা কোনো কল্পনাপ্রসূত নগরী নয় বরং একটি বাস্তবসম্মত ঢাকা গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরও বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেন না হয়। কৃষিজমি, বনাঞ্চল যেন নষ্ট না হয় সেটা আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রাজউক অনেক চমৎকার কাজ করছে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ভালো কাজ করতে হবে। রাজউক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করব রাজউক চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করার জন্য, যেন তিনি ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী করার স্বপ্নপূরণ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মানুষের কাছে রাজউকের ভালো কাজগুলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বদ্ধপরিকর।
সভায় রাজউকের সার্বিক কার্যক্রম, লক্ষ্য, অভীষ্ট এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহা. হারুন-অর-রশীদ, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তারা।