রাজধানীর রূপনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দুই দফা হামলার শিকার হয়েছেন। এতে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী মারাত্মক আহত হন। রূপনগরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে আহত নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন। গত সোমবার রাতে এই হামলার ঘটনায় আহত ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮টার সময় রূপনগর আবাসিক এলাকার ১২ নম্বর রোডের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েক নেতা-কর্মী মিলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী অনিককে আটক করে। তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য রূপনগর থানায় সংবাদ দেয়। এ সময় রূপনগর থানা বিএনপি নেতা এম আশরাফুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক টুটুল মিয়ার নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে ওই ছাত্রলীগের কর্মীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। গতকাল রাজধানীর মিরপুর ১০-এ এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।