স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে জানানো হয়, ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিকবিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ (এনএসইজেড) ‘গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার পিভি (১০০-২০০ মেগাওয়াট)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে দুটি পৃথক প্রস্তাবে স্পট মার্কেট থেকে দুটি এলএনজি কার্গো (চলতি বছরের ১৩ ও ১৪তম) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুটি কার্গোই সরবরাহ করবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’। এর মধ্যে ১৩তম কার্গোটি আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (প্রতি ইউনিট ১৪.৪৮ ডলার)। আর ১৪তম কার্গো আমদানিতে ব্যয় হবে ৬৮২ কোটি টাকা। বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতী সিদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি সরবরাহ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পট্টভি এগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড’। প্রতি মেট্রিক টন চাল ৪২৯.৫৫ ডলার দরে ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া এতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। বৈঠকে টিসিবির জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ তেল সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড। আর ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে ‘মেসার্স মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন’ থেকে। প্রতি কেজি ডাল ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে এতে ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা ওয়াসার ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প ফেজ-৩’-এর আওতায় দুটি প্যাকেজ কাজের ঠিকাদার নিয়াগের পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে কম্পোনেন্ট ৩.১ এর কাজটি পেয়েছে চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর কম্পোনেন্ট-৩ এর কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে এইচআইসিসি ও এসআরসি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।