ব্যাটিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতা ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি জেতা থাকলে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখতে পারত নিগার বাহিনী। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে খেলতে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেন মেয়েরা। নিজেদের প্রথম লক্ষ্য পূরণের পর টানা চার ম্যাচ হারেন নিগাররা। পাঁচ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে আছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ এখনো আছে নিগার বাহিনীর। এজন্য শেষ দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে, পাশাপাশি স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ডের হারের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ হেরে গেলে সেমির স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের দুই টার্গেটের একটি পূরণ হয়েছে ইতোমধ্যে। টানা দ্বিতীয়বার নারী বিশ্বকাপে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়ার আগে দুটি টার্গেটের কথা বলেছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও কোচ সারোয়ার ইমরান। কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে নিগার বাহিনী জয় পায় ৭ উইকেটে। পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম টার্গেট পূরণ করে। এবার দ্বিতীয় টার্গেট শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়কেই দ্বিতীয় টার্গেট বলেছিলেন নিগার। মুম্বাইয়ের পাতিল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় দুই দল মুখোমুখি হবে। সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি লঙ্কান মেয়েদের হারিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের দ্বিতীয় লক্ষ্য পূরণে মরিয়া বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিগার বাহিনীর এটা ৬ নম্বর ম্যাচ। শ্রীলঙ্কারও ৬ নম্বর ম্যাচ। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি হেরেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। নিগার বাহিনীর আসরে শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। অন্যদিকে চলতি বিশ্বকাপে এখনো জয়ের দেখা পায়নি শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ খেলে তিনটিতে হেরেছে এবং দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে আছে তারা। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকে থাকবে লঙ্কানদেরও।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সুবানা মুস্তারি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন। পাঁচ ম্যাচে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে খেলেছেন ১৬১ রানের ইনিংস। সমান ম্যাচে ঝিলিক এক হাফ সেঞ্চুরিতে ১৩১ ও শারমিন এক হাফ সেঞ্চুরিতে ১১২ রান করেছেন। এ ছাড়া স্পিন অলরাউন্ডার স্বর্ণা একটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। বল হাতে ফাহিমা খাতুন পাঁচ ম্যাচে ৬টি, নাহিদা আক্তার ও মারুফা আক্তার চার ম্যাচে ৫টি করে, রাবেয়া পাঁচ ম্যাচে ৪টি ও স্বর্ণা পাঁচ ম্যাচে ৩টি উইকেট নিয়েছেন।