চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত দুইজনের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। এ দুইজনই বর্তমানে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আরও দুই শিক্ষার্থী আজ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে, সোমবার সকালে ভাস্কুলার ইনজুরি হওয়ায় চবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আবদুল্লাহ আলম মামুন (২৪) ও ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪) নামে দুই শিক্ষার্থীকে পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর তাদের অপারেশনও হয়। দুইজনই ক্রেনিওটমি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে মামুনের মাথার খুলি খুলে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাইফুল (২১) ও বাহারুল ইসলাম (২২) নামে দুই শিক্ষার্থী ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। আর বর্তমানে চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে আরও ১১ জন।
পার্কভিউ হাসপাতালের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আইসিইউতে থাকা দুইজনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। একজনের মাথার খুলি খুলে রাখা হয়েছে। তবে অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। তাছাড়া, আরও দুইজন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
চবির শিক্ষকদের অভিযোগ, আহত ছেলেগুলোর হাতে এখন ক্যানুলা থাকার কথা নয়। মাথায় ব্যান্ডেজ থাকার কথাও নয়। কিন্তু এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। কোথায় চলেছে শিক্ষা ব্যবস্থা। ছাত্রদের হাতে খাতা, কলম, বই ও ট্যাবের বদলে এখন ব্যান্ডেজ, সেলাই ও সেলাইন। এক ছাত্রের মাথার খুলির এক তৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে, সার্জারি শেষে এখন আইসিইউতে আছে। আরও কয়েকজনের মাথায় শোচনীয় অবস্থা। শিক্ষার্থীদের কি তাদের মা বাবা মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠান?
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের চবির ৮টা বাস ও ৯টা অ্যাম্বুলেন্সে করে চমেক হাসপাতালসহ নগরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই