হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অভিযানে মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে র্যাব-৯ এর দুটি দল তিনজনকে আটক করেছে। র্যাব বলছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোট ৯১ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৯, সিপিসি-৩, হবিগঞ্জের একটি দল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে মাধবপুর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এর আগে জগদীশপুর বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রসুলপুরের একটি ঘরে কয়েকজন ব্যক্তি গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এরপর র্যাবের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এক ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। র্যাব বলছে, পরে তার দেখানো মতে সাতটি পাটের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত মো. ইব্রাহিম মিয়া ওরফে টিটু (৪০) রসুলপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। র্যাবের ভাষ্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছিলেন।
অন্যদিকে, র্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) রাতে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলক্রসিং বাইপাস এলাকায় অভিযান চালায়। র্যাব জানায়, সেখানেও দুই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে আটক হন। পরে তাদের দেখানো মতে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে স্কচটেপ মোড়ানো ৩১ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন, নবীনগর থানার কোনাউর এলাকার আ. রহিমের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (৩১) এবং নবীনগরের নোয়াগাঁও এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৮)। র্যাবের ভাষ্য, তারা সীমান্ত এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতেন।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার (অতিঃ পুলিশ সুপার) কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ পৃথক এ দুই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটক ব্যক্তিদের এবং উদ্ধারকৃত গাঁজা সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন