গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘদিনের সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তবে মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার নিতে নরওয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়লে ‘পলাতক’ বলে বিবেচিত হবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়ার সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব বলেন, মিস মাচাদো ভেনেজুয়েলায় আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি ১০ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অসলো যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বাইরে থাকার এবং অসংখ্য ফৌজদারি তদন্তের কারণে, তাকে পলাতক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র, ঘৃণার উস্কানি, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রতি সমর্থনের জন্য মিসেস মাচাদোর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকবিরোধী অভিযানের লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছেন। কিন্তু ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যে তারা তার বামপন্থী সরকারকে উৎখাত করতে চান।
তথাকথিত 'গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা'র জন্য গত অক্টোবরে ৫৮ বছর বয়সী এই নারীকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা নোবেল কর্তৃপক্ষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারগুলোর মদদে মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। তিনি সরকার উৎখাত করার প্রচেষ্টায় যুক্ত।
সম্প্রীতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, নিকোলাস মাদুরো বলেছেন যে ভেনেজুয়েলা একটি নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, মাচাদোর দিন শেষ এবং তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-এর গোপন অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন।