সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদেল রহিম হামদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রহিম বাহিনীটির দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও এর প্রধান মোহাম্মেদ হামদান দাগালোর ভাই।
দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও বর্বরতা চালানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল জানিয়েছে, রহিমের বাহিনীর নির্যাতনের কারণেই এই ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে গত মাসে দারফুরের গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ফাশের দখল। ইইউ এসব বর্বরতার সর্বোচ্চ নিন্দা জানায়।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আবদেল‑রাহিম হামদানকে ইরোপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার কিছু সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। এছাড়া ইইউ-এর ২৭টি দেশ থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো লভ্যাংশ বা অন্যান্য সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরএসএফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে এটি তারই একটি সংকেত।
তিনি আরও বলেন, সুদানের পরিস্থিতি অত্যন্ত অবনতি হচ্ছে। আল-ফাশের দখল এই যুদ্ধে আরও একটি ধ্বংসাত্মক অধ্যায় শুরু করেছে।
এ বিষয়ে আরএসএফ এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তারা আল-ফাশের শহর ১৮ মাসের অবরোধের পর সেনাবাহিনী থেকে দখল করে পুরো দারফুর অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তাদের নৃশংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়ে লাখো মানুষ আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।
সুদানে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই বছরেরও বেশি সময় আরএসএফ ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংঘাত শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই রহিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সূত্র: এপি
বিডি-প্রতিদিন/এমই