অর্ধশত করা হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শনিবার চতুর্থ দিন আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৭ রান। ম্যাচ জিততে অতিথিদের এখনো প্রয়োজন আরও ৩৮২ রান।
এর আগে লাঞ্চের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল ২৮০। তাতে লিড দাঁড়ায় ৪৯১ রান। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও দাপুটে পারফরম্যান্স করতে থাকে ব্যাটাররা। লাঞ্চের পর নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ৫০০ রানের লিড পেরোল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা মুমিনুল হক ৮৭ রান করে আউট হন গ্যাভিন হোয়ের বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ক্যাচ দিয়ে। ২৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপরই ঘোষণা করে দেয়। লিড দাঁড়িয়েছে ৫০৮ রান। আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ৫০৯।
শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকের এই বিশেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতক আদায় করে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। দুটি ৪ ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। ওয়ানডে মেজাজে খেলা মুমিনুলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার। টানা ৩ ইনিংসে ফিফটি করেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে এই ইনিংসে জুটি গড়েন ১২৩ রানের।
২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৬৬১ রানের লিড নেয়। সেই ম্যাচে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। যা কিনা টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে হোয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট, একটি করে উইকেট নেইল ও ম্যাকব্রাইনের ঝুলিতে।
এর আগে, চতুর্থ দিনের শুরুতে ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৭৮ রান করে সাদমান ইসলাম সাজঘরে ফেরার পর ১ রান করে আউট হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
শনিবার ১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিকরা। প্রথম ৩ ওভারেই একটি করে বাউন্ডারি আসে। যার দুটি সাদমানের ব্যাট থেকে আর অন্যটি মুমিনুলের।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক