জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়ন ও তাদের আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে সিলেবাস সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসে সফট স্কিল, হার্ড স্কিল ও কারিগরি শিক্ষা আবশ্যক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, খেলাধুলা মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে এ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশে বিপ্লব ঘটাতে চাই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং স্পোর্টস বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, বিকেএসপির পরিচালক কর্নেল মো. গোলাম মাবুদ হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিনুল আক্তার।
জানা যায়, দুই দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্বে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্ব স্ব ইভেন্টে প্রথম স্থান ও রানার আপ অর্জনকারী প্রতিযোগী এবং চ্যাম্পিয়ন দল অংশগ্রহণ করছে। অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা দুদিনে সর্বমোট ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে (ছেলে এবং মেয়ে আলাদাভাবে) তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করছেন।
প্রতিযোগিতার প্রথম দিনের ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে দাবা, ক্যারাম, টেবিল টেনিস, ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট ও ভলিবল। দ্বিতীয় দিনের ইভেন্টগুলোতে অ্যাথলেটিকস, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন, হকি, সাঁতার ও কাবাডি অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশ থেকে আসা প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ