তাওহিদ হৃদয়ের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে নতুন নতুন নাটকের মঞ্চায়ন হচ্ছে! প্রিমিয়ার ক্রিকেটে দেশের দুই ক্রিকেট শক্তি আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে দুই ম্যাচ বহিষ্কারাদেশ পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। পরবর্তীতে মোহামেডান ক্লাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে শাস্তি কমানো হয় হৃদয়ের এবং তিনি ম্যাচও খেলেন। হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা কমানোয় বিষয়টির গুরুত্ব বেড়ে যায় হাজারগুণ। বিসিবির সিদ্ধান্তে হতাশ আম্পায়ার সৈকত পুনরাবেদন করেন শাস্তির। একই সঙ্গে বিসিবির আম্পায়ারিংয়ের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিবি শাস্তি পুনর্বহাল রাখে তাওহিদের। শুধু হৃদয় নয়, শাইনপুকুর-গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ম্যাচে ম্যাচ পাতানোয় দুই ক্রিকেটারের সম্পৃক্ততা নিয়ে আম্পায়ার্স কমিটি যেভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছে, এসব নিয়ে আলোচনা করতে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা গতকাল দেখা করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও দুজন পরিচালকের সঙ্গে। দুই পক্ষের বৈঠকের পর হৃদয়ের বহিষ্কারাদেশ এক বছর পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হৃদয় ভোগ করবেন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আগামী আসরের প্রথম ম্যাচে। তার মানে হচ্ছে, শাস্তি পিছিয়ে গেছে এক বছর।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ বহু বছরের। শিরোপা নির্ধারণ থেকে শুরু করে রেলিগেশন- সবকিছুই পাতানো ম্যাচের সংশ্লিষ্টতা থাকে। ক্লাবগুলো অভিযোগ করে আম্পায়ারিংও নিয়ে। প্রতি বছরই দেখা যায়, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বিতর্কে জড়াতে। ১২ এপ্রিল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে এবাদত হোসেনের একটি আউটের আবেদন নিয়ে মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয় তর্কে জড়ান মাঠের দুই আম্পায়ার তানভীর ইসলাম ও শরফুদ্দৌলা সৈকতের সঙ্গে। এরপর বিসিবি শাস্তি দেয় হৃদয়কে। গতকাল বিসিবির সভাপতির সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মিডিয়ার মুখোমুখি তামিম শাস্তিটিকে হাস্যকর বলেন, ‘প্রথমে যখন দুটি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তখন কেউ কোনো কথা বলেনি। এরপর এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। আবার দুই ম্যাচ খেলার পর এখন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। হৃদয়ের ব্যাপারটা কোনো সেন্সই মেক করে না দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া। আবারও তাকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটা হাস্যকর।’
প্রিমিয়ার লিগে শুরুতে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। শাইনপুকুর ম্যাচে হার্ট অ্যাটাক করে তামিমের। এরপর মাঠের বাইরে তিনি। তার পরিবর্তে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়।
গতকাল তামিমের নেতৃত্বে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, ইলিয়াস সানি, নাঈম শেখ ও জিয়াউর রহমান।