অসময়ে ভাটা পড়েছে রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রে। নেই কোন পর্যটকদের আনাগোনা। একেবারে সুনসান নিরবতা, স্তব্ধ রাঙামাটি। এ যেনো পর্যটন মৌসুমের আগেই পর্যটক হারিয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। তবে কারণও ছিল বেশকিছু। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে টানা বৃষ্টি। অন্যদিকে পাহাড় ধস। হুটহাট বন্ধ হয়ে যায় সড়কপথ। এছাড়া উজানি ঢলে ডুবে গেছে সিম্বল অব রাঙামাটি। অর্থাৎ রাঙামাটির একমাত্র ঝুলন্ত সেতু। তাই হতাশাগ্রস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে আগ্রহ হারিয়েছে।
রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, একটি নিষেধাজ্ঞার নোটিস দেওয়া আছে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুর ঠিক গেইটে। বন্ধ আছে টিকেট কাউন্টারও। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার হলেও নেই কোনো পর্যটক আনাগোনা। পার্কিং জোন খোলা থাকলেও বেকার সময় পাড় করছে কর্মচারীরা। গেইটে প্রবেশ করতে দেখা যায় ঝুলন্ত সেতুর পুরো পাটাতন ডুবে আছে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে। তাই পাড়াপাড়ের জন্য ঘাটে অপেক্ষামান ট্যুরিস্ট বোট। কিন্তু নেই কোন পর্যটক। অনেকটা বেকারই সময় কাটছে বোট চালকদের।
এব্যাপারে রাঙামাটি পর্যটক ঘাটের ট্যুরিস্ট বোট মানিক সমিতির ব্যবস্থাপক মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি পর্যটন ঘাটে প্রায় ১০০টি ট্যুরিস্ট বোট আছে। চালকও আছে ১০০ জন। কিন্তু ভোরা মৌসুমে আশানুরূপ পর্যটক নেই রাঙামাটি। তাই একেবারে কর্মহীন অবস্থায়ছে চালকরা। পর্যটক আসলে এসব বোট চালক কর্মময় হয়। কারণ পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে ভালবাসে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বাভাবিক নাথাকার কারণে পর্যঠক হ্রস পাচ্ছে রাঙামাটিতে। তাই এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বোট চালকদের।
অন্যদিকে রাজস্ব আয় কমছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে। পর্যটক নেই তেমন। তাই বুকিংও নেই। হোটেল মোটেলের চেয়ে মানুষ ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে বেশি প্রছন্দ করেন।
রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন পর্যটনে পর্যটক থাকতো বেশি। মোটেলের চেয়ে ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকরা বেশি ভ্রমন করেন। এখন ঝুলন্ত সেতু ডুবন্ত অবস্থায় আছে। তাই পর্যটকদের জন্য ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই রাজস্ব আয় কিছুটা কমে গেছে। পর্যটনের সবচেয়ে বেশি আয়ের মাধ্যম ঝুলন্ত সেতু।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল