আজ ১৩ আগস্ট, আন্তর্জাতিক নেকড়ে দিবস। বণ্যপ্রাণী ‘নেকড়ে’ সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নেকড়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়।
নেকড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী, যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তারা শিকারী প্রাণী হিসেবে খাদ্য শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং অন্যান্য প্রাণী ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাই আন্তর্জাতিক নেকড়ে দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো- নেকড়েদের সম্পর্কে মানুষের মনে থাকা ভুল ধারণা দূর করা এবং তাদের গুরুত্ব বোঝানো। একই সঙ্গে নেকড়ে এবং তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করা। নেকড়েদের জীবনযাত্রা এবং পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব সম্পর্কে গবেষণা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশে বর্তমানে নেকড়ে দেখা যায় না, তবে এক সময় ছিল। এক সময় বাংলাদেশে ‘ইন্ডিয়ান গ্রে উলফ’ বা ‘ভারতীয় ধূসর নেকড়ে’ পাওয়া যেত, কিন্তু নির্বিচারে হত্যার কারণে এই প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
১৯৪০ সালের দিকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় নেকড়ে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের তথ্যে দাবি করা হয়, সর্বশেষ ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশে ধূসর নেকড়ে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে, দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছর পর আবারও ২০১৯ সালের জুনে বাংলাদেশের সুন্দরবনের নিকটবর্তী একটি গ্রামে একটি ধূসর নেকড়ের দেখা মিললেও গবাদি পশুকে আক্রমণের অভিযোগে সেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতের বন থেকে কোনওভাবে বাংলাদেশে চলে এসেছিল নেকড়েটি।
তথ্যসূত্র: ইকো ক্যালেন্ডার
বিডি প্রতিদিন/একেএ