এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন যৌথ সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টা) এই বহুল আলোচিত বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকের আগে রুশ প্রেসিডেন্টকে বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা জানান ট্রাম্প। আয়োজনে ছিল নজরকাড়া একটি বিমান মহড়া, যা কূটনৈতিক পরিবেশের মাঝেই সামরিক শক্তির একটি শক্ত বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পুতিনের অভ্যর্থনার অংশ হিসেবে তার মাথার ওপর দিয়ে উড়ানো হয় একটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান। এর সঙ্গে ছিল চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং দুই পাশে রাখা ছিল দুটি এফ-২২ ফাইটার জেট। তবে এই মহড়ার নির্দেশনা ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি পেন্টাগন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার আগে এমন একটি সামরিক মহড়া রাশিয়ার মতো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের প্রতি এক ধরনের শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখা যেতে পারে।
বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উন্নত ও ব্যয়বহুল সামরিক অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে রয়টার্সের বরাতে জানানো হয়েছে, প্রতিটি বি-২ বিমানের দাম প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। বিমানটি রাডারে খুবই কম দৃশ্যমান, ফলে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে গভীর লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম।
মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এই মনুষ্যবাহী বোমারু বিমানটি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গোপনে প্রবেশ করে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি পারমাণবিক এবং প্রচলিত অস্ত্র বহন করতে পারে।
গত জুন মাসে বি-২ বিমান ব্যবহার করে ইরানের বিভিন্ন ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছিল। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে চালানো সেই অভিযানে সাতটি বি-২ বিমান ৩৬ ঘণ্টা একটানা উড়ে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে।
আলাস্কার এলমেনডর্ফ ঘাঁটির দুই কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, শীর্ষ বৈঠকের আগে দুটি বি-২ বোমারু বিমান ঘাঁটিতে উড়িয়ে আনা হয়। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো আসে কাছের আইলসন বিমান ঘাঁটি থেকে। এফ-২২ যুদ্ধবিমানগুলো এলমেনডর্ফ ঘাঁটিতেই মোতায়েন ছিল।
সূত্র : এবিসি নিউজ, বিবিসি ও রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/শআ