ভালো চাহিদা ও দাম পাওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। দিন দিন দিনাজপুরের কাহারোলের বিভিন্ন এলাকায় এসব উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজী সুইট বিউটি জাতের ক্যাপসিকাম চাষ বেড়েছে।
দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কাহারোলের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কৃষি ব্লকের রামচন্দপুর টেকসই কৃষি উন্নয়ন কৃষক মো. মিজানুর রহমান চলতি রবি-২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সুইট বিউটি ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো সাফল্য পেয়েছেন। তাকে অনুকরণ করে উপজেলার অনেক কৃষক এখন ক্যাপসিকাম চাষাবাদে কৃষক মিজানুরের নিকট পরামর্শ নিতে আসছেন।
কৃষক মো. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজি উৎপাদন বা প্রদর্শনীর আওতায় ২০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি প্রায় ২৫-২৬ হাজার টাকার। আরও ক্যাপসিকাম রয়েছে জমিতে। খরচ বাদ দিয়ে ২০-২৫ হাজার টাকার মতো লাভ হবে বলে আশা করছেন। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে তিনি এই ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজী উৎপাদনে প্রদর্শনী ক্যাপসিকাম সুইট বিউটি জাতটি কৃষক মো. মিজানুর রহমানকে দেওয়া হয়। উৎপাদনের ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি বিভাগ নিবীড় পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সার্বিক সহযোগিতা ও সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। যাতে ক্যাপসিকাম উৎপাদন ভালো হয়। বাজারে ক্যাপসিকামের চাহিদা রয়েছে প্রচুর ও দাম ভাল থাকায় কৃষকেরা দিন দিন ক্যাপসিকাম চাষাবাদ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল