খাল খনন করেও নগরীর জলাবদ্ধতা কমানো যাচ্ছে না। আষাঢ়-শ্রাবণের টানা বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে থাকেন বিভিন্ন অলি-গলির বাসিন্দারা।
মূল সড়কের পানি নেমে গেলেও অলিগলিতে দুই তিন দিন পানি জমে থাকছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন নগরীর ভাটিখানা এলাকার পান্থ ও হাতেম আলী সড়কের বাসিন্দারা। বছরের ৯ মাস সড়ক দুটিতে পানি থাকে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পান্থ সড়কের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঁচ বছর ধরে কোনো ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। এর কারণে ড্রেনের পানি নামতে পারে না। তাই পানি জমে থাকে। বৃষ্টি হলে পান্থ সড়ক ও হাতেম আলী সড়কে হাঁটুপানিতে ডুবে থাকে। দুই সড়কের কয়েক হাজার বাসিন্দা নোংরা পানি দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন।
নগরীর পশ্চিম বগুড়া রোডের বাসিন্দারা বলেন, নগরীর পশ্চিম বগুড়া সড়কটি একটি জনবহুল এলাকায়। সড়কের মসজিদের সামনে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পানিতে সেগুলো ভেসে থাকে। তখন মুসল্লিরা পড়েন বিপাকে। তারা নোংরা পানি মাড়িয়ে মসজিদেও যেতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে ভবনের ভাঙা ইট-বালু দিয়ে একটি বাঁধের মতো দিয়েছে। এখন তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এ ছাড়াও ব্যস্ততম নবগ্রাম রোড, বগুড়া রোড, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, সদর রোড, নগরীর সাউথ কিংয়ের সামনের সড়ক, আমির কুটিরসহ নগরীর প্রায় অর্ধশত রাস্তা ও গলি বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, কোনো পরিকল্পনা ছাড়া ড্রেন নির্মাণের কারণে পানি সহজে নামে না। নগরীর জলাধার ভরাট করে রাখা, খাল ড্রেনে পরিণত করায় সহজে সমাধানের কোনো উপায় নেই।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, বর্তমানে খাল খনন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। পান্থ সড়কের পানি না নামার কারণ হচ্ছে ভাটিখানার মূল ড্রেনটি আটকে রয়েছে। ড্রেন পরিষ্কার করা না হলে সমস্যা সমাধান হবে না। শিগগিরই ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।