► তালাইমারী থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল হওয়ায় মানুষকে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। রাস্তার সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে
► এলাকায় ফুটপাতে সবজি, মাছ, মাংসের বাজার, চায়ের দোকান, খাবার দোকান, সাইকেল-ভ্যান-মোটরসাইকেল সারানোর দোকান, বাস কাউন্টারের দোকান বসানো হয়েছে
রাজশাহী নগরীর তালাইমারী থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত ফুটপাতের ওপর অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলও করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিনোদপুর বাজারে ফুটপাত দখল করে দলীয় কার্যালয়ও বানানো হয়েছে।
তালাইমারী থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল হওয়ায় মানুষকে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। রাস্তার সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, রাজশাহী নগরীর প্রবেশপথ এই রাস্তার ফুটপাত দখলমুক্ত করা দরকার। প্রয়োজনে পুরোনো ব্যবসায়ীদের আলাদা করে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। খুব দ্রুতই ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান পরিচালনা করা হবে। ফুটপাত মানুষের ব্যবহারের জন্য।
এখানে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।’
রাজশাহীর তালাইমারী মোড় থেকে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত সড়কটি নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বার। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের এই ৪ দশমিক ১০ কিলোমিটার অংশ ছয় লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। তবে জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় পরিকল্পনামতো সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে না। সরকারের অর্থায়নে রাসিকের সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজটি ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর শুরু হয়। রাস্তার কাজ পুরোটা শেষ হতে না হতেই নতুন করে ফুটপাত দখল শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে রাস্তার দুই ধারে ফুটপাত দখল করা হয়েছে।
তবে রাস্তার উত্তর পাশে দখলের পরিমাণটা বেশি। তালাইমারী সংলগ্ন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফুটপাতের ওপর একাধিক চায়ের দোকান, নার্সারি, ভাঙারির দোকান, ট্রাক ভাড়া দেওয়ার দোকান বসানো হয়েছে। কাজলা এলাকায়ও ফুটপাত ঘেঁষে ব্যবসা করা দোকানিরা ফুটপাত দখলেই রাখছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ও ফটকের পূর্ব পাশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিজ বিভাগ পর্যন্ত উত্তর পাশের ফুটপাত দখলে নেওয়া হয়েছে।
এসব এলাকায় ফুটপাতে সবজি, মাছ, মাংসের বাজার, চায়ের দোকান, খাবার দোকান, সাইকেল-ভ্যান-মোটরসাইকেল সারানোর দোকান, বাস কাউন্টারের দোকান বসানো হয়েছে। কেউ কেউ বাঁশ দিয়ে জায়গা দখলেও রেখেছে। সেগুলোতে দোকান বসানো হয়নি। এসব এলাকায় ফুটপাতগুলোর দোকান বাঁশ ও ইট-সুরকি-সিমেন্টের খুঁটি পেতে বসানো হয়েছে। ওপরে দেওয়া হয়েছে টিন।