দুই দিনে টানা বৃষ্টিপাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ডুবে গেছে নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলি। দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিম্নআয়ের মানুষের আয় রোজগার।
সরেজমিন সিটি কপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সমনের সড়ক, বিসিক শিল্পনগরী এলাকা, জেলা স্কুল সড়ক, ঈদগাহ এলাকা, ছাতিপট্টি, দক্ষণ চর্থা, কান্দিরপাড়-রাণীর বাজার সড়ক, ঠাকুরপাড়া, ছায়া বিতান ও শুভপুরসহ নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নগরীতে বসবাস কারী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এটা এক-দুই দিনের না, সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠারও আগের। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
সূত্রমতে, কুমিল্লায় জনসংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে আবাসনের বিস্তার। যত্রতত্র গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত দালান-কোঠা। এরমধ্যে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং দখল ও দূষণে দিন দিন খালগুলো পরিণত হচ্ছে সরু নালায়। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ দিন দিন চরম আকার ধারণ করেছে।
কুমিল্লার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন না কোন মাধ্যমে বলেই যাচ্ছি। কাজের কিছুই হচ্ছেনা। দুই-চার দিন লোক দেখানো কাজ হয়। বর্ষা চলে গেলে সিটি কপোরেশনের লোকজন ডুব দিয়ে ফেলে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির কারণেই মুলত নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থায়ী ভাবে সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ছে। তাছাড়া যে সকল খাল ও ড্রেনে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা হয়েছে, সে সব স্থান চিহ্নিত করে সকাল থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে আমি নিজেও রয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ