জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে পরিবর্তন এনেছে বলে জানা গেছে। এই পরিবর্তনগুলো মূলত ইউটিউবের শর্টস (সংক্ষিপ্ত ভিডিও) ফিচারে পরীক্ষামূলকভাবে করা হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন সংগীত বিষয়ক জনপ্রিয় ইউটিউবার রিক বিটো এবং রেট শুল লক্ষ্য করেন, তাদের ভিডিওতে অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তন এসেছে। যেমন—চুল বা ত্বক অস্বাভাবিক মসৃণ দেখানো, পোশাকের ভাঁজ বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা কানে অদ্ভুত আকৃতি তৈরি হওয়া। এসব পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম যে তুলনা ছাড়া বোঝা প্রায় অসম্ভব।
কনটেন্ট নির্মাতাদের মতে, এসব এআই প্রক্রিয়াকৃত পরিবর্তন তাদের ভিডিওতে ‘অপ্রাকৃতিক’ বা ‘কৃত্রিম’ ধাঁচ তৈরি করছে।
রেট শুল বলেন, যদি অতিরিক্ত শার্প বা পরিষ্কার দেখানোই দরকার হতো, সেটা আমি নিজেই করতাম। কিন্তু ইউটিউব আমার অনুমতি ছাড়াই তা করেছে। এতে আমার কনটেন্ট এবং দর্শকের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে ইউটিউবের ক্রিয়েটর লিয়াজোঁ রেনে রিচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বীকার করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি সীমিত পরিসরে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তার ভাষায়, আধুনিক স্মার্টফোনে যেমন ভিডিও রেকর্ড করার সময় ছবি পরিষ্কার বা ঝাপসা দূর করার প্রযুক্তি থাকে, তেমনি আমরাও কিছু শর্টসে মেশিন লার্নিং দিয়ে ভিডিওর মান উন্নত করার পরীক্ষা চালাচ্ছি।
তবে ইউটিউব এখনো স্পষ্ট করেনি, ব্যবহারকারীরা চাইলে এসব এআই পরিবর্তন বন্ধ করার সুযোগ পাবেন কি না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোনে ভিডিও উন্নত করার মতো ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু ইউটিউবের ক্ষেত্রে কনটেন্ট নির্মাতাদের অনুমতি ছাড়াই পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা সৃজনশীল কাজের স্বাধীনতা ও দর্শকের আস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল