চট্টগ্রাম মহানগরের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ মার্কেট রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও তামাকুমন্ডি লেইন। এখানে ৩ শতাধিক ভবনে আছে ১৮০টি মার্কেট। এসব মার্কেটে আছে প্রায় ১২ হাজার দোকান। একটি মার্কেটের সঙ্গে আরেকটি মার্কেট লাগোয়া। গলিগুলো অত্যন্ত সরু। স্বাভাবিক নিয়মেও হাঁটা দায়। নেই আলোবাতাসের ব্যবস্থা। আছে খোলা বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনায় বের হওয়ার সুযোগ নেই। ফায়ার সার্ভিসের তালিকায় এ দুটি এলাকা অগ্নিঝুঁকিতে। এভাবে কেবল রিয়াজ উদ্দিন বাজার নয়, নগরের অন্তত অর্ধশত মার্কেট আছে অগ্নিঝুঁকিতে। ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর শুর হয় তোড়জোড়। এরপর সব উদ্যোগ চলে যায় হিমাগারে।
২০২৪ সালে রিয়াজ উদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স, টেরিবাজার, আছাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, শাহ আমানত মার্কেট, নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় ৭৪টি অগ্নিকা ঘটে। গত বছরের জুনে রিয়াজ উদ্দিন বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা যান তিনজন, গুরুতর আহত হন দুজন। অভিযোগ আছে, মার্কেট-বিপণিবিতান ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো তদারকির দায়িত্ব সিটি করপোরেশন, সিডিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের। কিন্তু তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন না করার ফলে যে-যার মতো করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করে। ফলে পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনার। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে অন্তত ৪৫টি মার্কেট ও ১০টি বাজার অগ্নিঝুঁকিতে। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নগরে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে। বর্তমানে ৭০ শতাংশ মার্র্কেট-বিপণিবিতানে ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা নেই। আছে ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চমাত্রার বৈদ্যুতিক খোলা লাইন। এসব নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রামের ১৮৯টি ভবন, কারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে আগাম সতর্কবার্তা হিসেবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।