রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন আজ। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রায় ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাই উদ্দীপ্ত। নির্বাচনে ২৮ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। জানা যায়, রাকসু নির্বাচনে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ২১২ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। ভোট গণনা হবে ওএমআর মেশিনে। ভোট গণনায় সময় লাগতে পারে ১৪-১৭ ঘণ্টা। ক্যাম্পাসে ২ হাজারের বেশি পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল রাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে ২৩টি পদের সবগুলোতেই প্রার্থী দিয়েছে। শিবিরের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনটির রাবি শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনের রাবি শাখার সহসভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবির। এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী শিবির। ছাত্রদলও অবশ্য নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমাদের প্যানেলের শতভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মুখে শুধু আমাদের প্যানেল নিয়েই আলোচনা। তারা সবাই বলছেন, আমাদের প্যানেল গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আমরা আশাবাদী।’ থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি : নির্বাচনে জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘প্রথমে ভোটার যে শিক্ষার্থী আইডি কার্ড নিয়ে আসবে, সেটির সত্যতা যাচাই করা হবে। এরপর ভোটারের ইউনিক আইডি ও ছবি যুক্ত ভোটার কার্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ছবির সঙ্গে ভোটারের মিল নিশ্চিত করার পরও সন্দেহ হলে কার্ডে থাকা গোপনীয় কিউআর কোড স্ক্যান করে চূড়ান্তভাবে যাচাই করা হবে।’ তিনি এ প্রক্রিয়াকে থ্রি ডাইমেনশননাল সিকিউরিটি বা থ্রিডি হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটার সংখ্যার বাইরে অতিরিক্ত একটি ব্যালট পেপারও ছাপানো হয়নি। ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের জন্য ২৮ হাজার ৯০১টি ব্যালট পেপারই ছাপানো হয়েছে। আটটি ধাপ পেরিয়ে ব্যালট পেপারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।’