মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়স থেকেই তুমুল জনপ্রিয় লেখক রকিব হাসান। এত কম বয়সে বাংলা সাহিত্যে এমন জনপ্রিয়তা আর কেউ পাননি। অথচ কোটি কোটি পাঠকের কাছে তিনি অজানাই রয়ে গেছেন। ব্যক্তিজীবন এবং লেখক জীবনকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখতে পছন্দ করতেন। বাসাবোয় নিজ বাসভবনের সামনে যখন এলাকার ছেলেপেলেরা তিন গোয়েন্দা নিয়ে তুমুল আড্ডায় তখন তিনি বারান্দায় বসে উপভোগ করতেন। তারা জানতো না ইনিই রকিব হাসান। দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ছিল এই জনপ্রিয় লেখকের সম্পর্ক। লিখেছেন ঈদ সংখ্যায়।
আজীবন আড়ালে থাকা রকিব হাসান প্রথম নিজের ছবিসহ সাক্ষাৎকার প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে। ‘তিন গোয়েন্দার রকিব হাসান’ নামে লেখাটি প্রকাশের পর সাড়া পড়ে দেশজুড়ে। সকাল থেকেই পত্রিকা অফিসে আসতে থাকে ফোন। সবার আগ্রহ একটাই কীভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে। তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া যাবে। কোটি কোটি পাঠকের মননে রকিব হাসানের অমর চরিত্র কিশোর-মুসা-রবিনের মতো দেশপ্রেমের প্রথম পাঠ এবং অজানাকে জানার দুর্বার আগ্রহ তিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন স্কুল জীবনে। প্রভাবশালী লেখক হয়েও ছিলেন প্রচারবিমুখ। বিভাগীয় প্রধান রণক ইকরাম ভাই এবং আমি তাকে জানাই আগামীকাল সকালে পত্রিকার পাতা খুলে আপনার ছবি দেখে কোটি কোটি পাঠকের চোখ চকচক করবে। আপনি আপনার পাঠকদের এই আনন্দটুকু উপহার দিতেই পারেন। রকিব হাসান লজ্জিত এবং অসহায়ভাবে তাকালেন। কিন্তু আমরা নাছোড়বান্দা। একপর্যায়ে মুচকি হেসে বললেন, কই তোমাদের ক্যামেরা, ছবি কোথায় তুলবে? এর কিছুদিন পর রকিব হাসানের সঙ্গে তাঁর বাসায় পৌঁছেছি বইমেলা থেকে। ছোট্ট বসার ঘরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শুধু বই আর বই। বইয়ের অরণ্যের মাঝে তিনি বসে পড়ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন। শুভ কামনা জানান পত্রিকার জন্য।