দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা পেল নরওয়ে। সান সিরোতে ইতালিকে ৪–১ ব্যবধানে হারিয়ে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উঠল তারা—আর এ পথটিকে সহজ করেছে দুই মিনিটের ব্যবধানে আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোল। বিপরীতে টানা তৃতীয়বারের মতো প্লে-অফে নামতে হচ্ছে ইতালিকে।
ম্যাচ শুরুর আগেই স্বাগতিকদের ওপর চাপ ছিল। ‘আই’ গ্রুপে নরওয়ে আগেই দেখিয়েছে অপ্রতিরোধ্য আধিপত্য—একটিও ম্যাচ হারেনি তারা। তার ওপর ৯ গোলের সমীকরণ মেলানো এমনিতেই কঠিন। ফলে ইতালির প্লে-অফ নিশ্চিতই ছিল বলা যায়।
তারপরও ঘরের মাঠে শুরুটা ভালোই করেছিল আজ্জুরিরা। ১১ মিনিটে দুর্দান্ত টার্ন নিয়ে চমৎকার ফিনিশে দলকে এগিয়ে নেন ২০ বছর বয়সী ফ্রান্সেসকো পিও এসপোজিতো। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইতালি।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় পুরো দৃশ্য। আক্রমণাত্মক খেলায় ম্যাচে ফিরে আসে নরওয়ে। ৬৩ মিনিটে সারলথের পাস থেকে সমতায় ফেরার গোল করেন তরুণ উইঙ্গার আন্তোনিও নুসা। এর কিছুক্ষণ পরই আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু দোন্নারুম্মা তা ঠেকিয়ে দেন।
তবে এর পর আর রক্ষা হয়নি। বদলি হিসেবে নামা অস্কার বোবের নিখুঁত পাস থেকে ৭৮ মিনিটে ভলি শটে গোল করেন হালান্ড। মাত্র এক মিনিট পর থরস্টভেডের ক্রস থেকে সহজ ট্যাপে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার।
অতিরিক্ত সময়ে জর্গেন স্ট্র্যান্ডের গোল ম্যাচের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেয়। ৪–১ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে নরওয়ে—শেষ হয় দীর্ঘ অপেক্ষার অধ্যায়।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর আর বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে পারেনি ইতালি। গত দুই আসরেই প্লে-অফ খেলেও ব্যর্থ ছিল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবারও সেই পুরোনো শঙ্কাই ঘিরে ধরছে দলটিকে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক