এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন খেলবে তা নিয়ে আগে থেকেই সংশয়ে ছিলেন হার্শা ভোগলে। যদিও তার প্রত্যাশা ছিল লড়াই করবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে যাওয়াতে খানিকটা হতাশ হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার এবং ক্রিকেট বিশ্লেষক। এমন হারে কোনো অজুহাত দেবে না বাংলাদেশ এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তিনি। বরং বাস্তবতা মেনে নেবে লিটন দাসের দল।
আগে ব্যাটিং করে পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১৪.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ জুড়ে অসংখ্য শর্ট বল করে বাংলাদেশের বোলাররা। এর সমালোচনা করেছেন হার্শা।
ম্যাচ শেষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিশাঙ্কা শর্ট বল ভালো খেলে। আর বাংলাদেশের পেসাররা আজকে অনেক শর্ট বল করেছে। স্পিনাররাও একই কাজ করেছে। আপনি যদি ৭ থেকে ১০ ওভারের সময়টা দেখেন, আমার মনে হয় মেহেদী তখন খরুচে একটা ওভার করেছিল। রিশাদও এক ওভারে ১৮ রান দিয়েছে। ৫ টা ওয়াইড দিয়েছে, অতিরিক্তও অনেক দিয়েছে। ওইখানেই ম্যাচ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব বাংলাদেশ অজুহাত দেবে না। যখনই মনে বলবেন আমরা ভালো খেলিনি তখন আপনি ভালো খেলতে পারবেন। আপনি যদি অজুহাত দিতে শুরু করেন...আমি আশা করব সমর্থক কিংবা যারা আছে তারা অজুহাত দেবে না। আপনি যখনই বলবেন আমরা এখনো ওই লেভেলের ভালো না, তখনই আপনি ভালো করার একটা প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
বাংলাদেশ পরের রাউন্ডে যেতে পারবে কিনা সেটি নিয়েও কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন হার্শা। গ্রুপ পর্বে এরই মাঝে হংকংকে হারিয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই এখনো বাকি।
এদিকে শ্রীলঙ্কা খেলেছে কেবল বাংলাদেশের বিপক্ষে, তাদের বাকি দুটি ম্যাচ। সবমিলিয়ে এই গ্রুপে খানিকটা কোণঠাসা অবস্থানে আছে টাইগাররা। তাই শেষ ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই দলটির। এরপর নজর রাখতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর দিকেও।
হার্শা বলেন, বাংলাদেশের জন্য খুবই বাজে একটা দিন। তারা যখন ফিরে যাবে তখন দেখবে কোনো অংশেই তারা ম্যাচে ছিল না। আফগানিস্তানের সঙ্গে এখন তাদের খুবই বড় একটা ম্যাচ আছে। আমি ভেবেছিলাম খেলাটা শেষ পর্যন্ত যাবে এবং আরও অনেক বেশি লড়াই করে। এমন একটা ম্যাচ হবে প্রত্যাশা করিনি।
২০১৯ সালে যুব বিশ্বকাপ জিতে বাংলাদেশ। সেই দলের তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলামদের নিয়েই আজকের বাংলাদেশ দল। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজারা চলে যাওয়ার পর এরাই বাংলাদেশের হাল ধরবে ভেবে নিয়েছিলেন হার্শা।
তিনি আরো বলেন, দেখুন, বাংলাদেশে ২৫-৩০ বছর ধরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে আশরাফুল দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছিল। তাদের প্রতিভার অভাব ছিল না। তারা এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। সবসময় সবকিছু আপনার দলের বিপক্ষেই যাচ্ছে। তখন আপনি আপনার দলের ওপরই চাপ বাড়াচ্ছেন।
এই ধারাভাষ্যকার বলেন, আমি ভেবেছিলাম...যুব বিশ্বকাপ জেতার পর ৫-৬ জন ক্রিকেটার দলে এসেছে। ২০০৭ সালের চেয়েও বেশি। তখন তাদের ৪-৫ জন ক্রিকেটার এসেছিল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভালো করেছিল। তামিম খুব সম্ভবত সেরা ব্যাটার যাকে বাংলাদেশ তৈরি করেছে। আশা করছি যুব বিশ্বকাপ জেতা দল থেকে আসা ৫-৬ জন ক্রিকেটাররা ১০-১৫ বছর খেলবে। আপনার তাদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ