নেত্রকোনায় গেল এক সপ্তাহ ধরে গণছুটিতে পল্লী বিদুৎ এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আন্দোলনের সাত দিন পার হলেও কাজে ফেরেননি তারা। এদিকে ভোগান্তির শিকার সাধারণ গ্রাহকরা। অনেকেই অতিরিক্ত বিল ও মিটার পরিবর্তনের আবেদন করেও সপ্তাখানেক ধরে ঘুরছেন বলে অভিযোগ করেন। ইতিমধ্যে সরকার কাজে ফেরার নির্দেশ দিলেও আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারি নির্দেশনাকে প্রত্যাক্ষাণ করে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গণছুটি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, আন্দোলনে অংশ নেয়ায় গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৪ ও ৫ সেপ্টম্বর) মেম্বার সার্ভিস কো-অর্ডিনেটসহ মোট চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এছাড়াও আরও দুজনকে স্থায়ী বরখাস্ত করে। এরই প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮০৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী অনির্দিষ্ট কালের গণছুটির আবেদন লিখে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ফলে জেলার ১২ টি জোনাল ও সাব জোনাল অফিসের আওতায় ২০ টি সাবস্টেশন ও ২৬ টি অভিযোগ কেন্দ্রের বেশিরভাগই নিষ্ক্রিয়।
পল্লী বিদুৎ সমিতির আওতাধীন সাড়ে ৬ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। জেলার ১০ উপজেলার বেশ কিছু উপজেলায় বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পল্লী বিদুৎ সমিতি ঠিকাদারদের মাধ্যমে এগুলোকে বিভিন্ন ভাবে চালু রাখার চেষ্টা চালালেও বিভিন্ন এলাকায় টানা বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের কৃষক আলী উসমান জানান তাদের পোল্টি ফার্মের বেশ ক্ষতি হয়ে গেছে। তিন দিন ধরে বিদুৎ বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থা প্রায় প্রতিটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের। কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন চারু করলেও বেশিরভাগ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে ফোন দিচ্ছেন সমিতির সাবসেন্টারে। না পেয়ে নেত্রকোনা অফিসে এসেও ঘুরে যাচ্ছেন।
এদিকে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আকরাম হোসেন জানান, তারা সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। অনেকেই বুধবার থেকে অফিসে অসছেন। আন্দোলনকারীরা সরকারের সিদ্ধান্ত মানছেন না কর্মসূচী করছেন। তাদেরকে আনার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল