কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সামাজিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সারফান সর্দার (৫০)। দৌলতপুর থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, সংঘর্ষে নিহত সারফান সর্দারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাইজিদ সর্দার নামে একজন। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সংঘর্ষে বাইজিদ সর্দার নামে আরও একজনের মৃত্যুর গুজব রটলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত জানাতে পারেননি ওসি সোলায়মান। বাইজিদের নানা দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোয়াজ হোসেন বলেন, সে চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাসিবুর রহমান বলেন, সর্দার ও মণ্ডলদের বাড়ির মধ্যে দূরত্ব ২৫০ গজের মতো। দুই দিন আগে একজনের বাড়ির পাশে প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে দুই পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়ায়। সংঘর্ষে মণ্ডলদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সারফান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন বলেন, ‘রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাগানে আমার বাবাকে পা ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।’