গত কয়েক মাস ধরেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন নেইমার। সান্তোসের হয়ে আগের ম্যাচে পুরোটা খেলতে পারেননি তিনি। বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচটাও ভালো কাটল না তার। রবিবারের এই ম্যাচে তিনি যা করলেন, তাতে পুরো ফুটবল দুনিয়া হতবাক।
গোল করতে গিয়ে তিনি হাত ব্যবহার করেন। রেফারি সেটা দেখে ফেলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নেইমারকে দ্বিতীয় বারের মতো হলুদ কার্ড দেখান। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে তার ওই লাল কার্ড দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছে সান্তোসের জন্যেও। বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচটাই সান্তোস হেরে যায় ১-০ গোলে।
বোটাফোগোর বিপক্ষে এই ম্যাচের শুরু থেকেই নেইমারকে রাগান্বিত দেখা যাচ্ছিল। বোটাফোগোর সমর্থকরা একের পর এক দুয়ো দিচ্ছিলেন। জবাবে নেইমার বলেছিলেন, ‘আমি একটা গোল করব, তারপর ওদের সামনে যাব।’
খেলার মাঝপথে নেইমার একটি ফাউল করেন। সেটা ছিল তার সাবেক সতীর্থ জাইরের ওপর। রেফারি তখন তাকে হলুদ কার্ড দেখান। এরপর ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে ঘটে বিতর্কের মূল ঘটনা। নেইমার বল জালে পাঠান, কিন্তু পা কিংবা মাথা দিয়ে নয়, হাত দিয়ে।
ভিএআর দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। নেইমার তখন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এটাই ছিল তার সান্তোস ক্যারিয়ারের পঞ্চম লাল কার্ড। ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে এটা তার ১৬তম লাল কার্ড। পিএসজির হয়ে তিনি শেষবার লাল কার্ড দেখেছিলেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।
এই লাল কার্ডের পর নেইমার নিজেই মুখ খুলেছেন। ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘গোলের জন্য বেশি মরিয়া হয়ে গেলে কখনো কখনো আমরা ভুল করে বসি। আমি আমার সতীর্থ তো বেই, ভক্তদের কাছেও মাফ চাইছি। আমি ভুল করে ফেলেছি, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যদি আমি লাল কার্ড না দেখতাম, আমি নিশ্চিত আমরা ৩ পয়েন্ট নিয়েই ম্যাচটা শেষ করতাম। আজকের ম্যাচের জন্য দলের অভিনন্দন প্রাপ্য। এই ৩টি পয়েন্ট না পাওয়ার দায় একান্তই আমার নিজের।’
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে আর্থুরের একটি ক্রস থেকে গোল করে জয় তুলে নেয় বোটাফোগো। সান্তোস খালি হাতে মাঠ ছাড়ে।
নেইমারের সঙ্গে সান্তোসের চুক্তি শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এরপর শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতি ও ক্লাব বিশ্বকাপ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এটাই ছিল নেইমারের শেষ ম্যাচ সান্তোসের হয়ে। আর সেই ‘শেষটা’ হলো এক লাল কার্ড আর অনুশোচনার গল্প দিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম