প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান শুধু ঢাকার নয়, চট্টগ্রাম ছিল এই বিপ্লবের অন্যতম দুর্গ। চট্টগ্রাম ছিল আমাদের অহংকার। এই জনপদ থেকেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো।’
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে সপ্তাহব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে সপ্তাহব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে যে কোনো সাহসী উদ্যোগের পাশে থাকব সবসময়। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকবে মুক্ত চিন্তার জন্য উন্মুক্ত, আর আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। জুলাই শহীদদের প্রতি সম্মান শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি সারাজীবনের একটি গ্রাফিতি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই স্মৃতি উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক সালেহ নোমান ও সদস্যসচিব মিয়া মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, এনসিপির মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মহিউদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী ও স্বপন মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের ৫ জন এবং ৪৩ সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় শহীদ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত, শহীদ মোহাম্মদ ফারুক, শহীদ ইশমামুল হক ও শহীদ ওমর ফারুকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল