ভারতের জারি করা সব মেডিকেল ভিসার প্রায় ৪৫ শতাংশই থাকত বাংলাদেশি। হাসিনা সরকারকে উৎখাতের পর এ ভিসা ২৮.২ শতাংশ হ্রাস পায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি রুপি রাজস্ব কমেছে। এ অর্থবছরের তৃতীয় এবং চতুর্থ কোয়ার্টারে এ হ্রাস বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল। কারণ একটাই- চেন্নাই এবং কলকাতার হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীদের অনুপস্থিতি। এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের। তার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে শীতলতা আসে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে। ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। প্রায় এক বছরের মাথায় এসেও সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
স্বল্প খরচের সুবিধার কারণে বাংলাদেশি রোগীদের ফের ভারতে ফিরে আসার বিষয়ে আশাবাদী অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীতা রেড্ডি। মানিকন্ট্রোল নামে একটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশিরা চিকিৎসা পরিষেবা পেতে তুরস্কে যাচ্ছেন। কিছু থাইল্যান্ডেও যাচ্ছেন। তবে খরচের দিক থেকে আমাদের এখনো একটি বিশাল সুবিধা রয়েছে। আমাদের কেবল সেই সম্পর্কগুলো পুনর্নির্মাণ করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সব স্বাভাবিক হবে। সুনীতা আরও বলেন, আমি আশাবাদী বাংলাদেশি রোগীরা ভারতকে স্বাস্থ্যসেবার গন্তব্য হিসেবে পছন্দ করবেন এবং সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দ অবশ্যই অ্যাপোলো হতে পারে। জানা গেছে, স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি, রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য কেনাকাটাতেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন- যা পরোক্ষভাবে ভারতের অর্থনীতিকে সহায়তা করে।