পাকিস্তানকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা চার হার। এর মধ্যে আবার দুই ম্যাচ জিততে জিততে হার। তবু নিগার সুলতানাদের স্বপ্নের সেমিফাইনালে খেলার ক্ষীণ আশা টিকে ছিল। এজন্য গতকাল শ্রীলঙ্কা ও পরের ম্যাচে ভারতকে হারাতে হতো। দুটি ম্যাচ জিতলেই চলত না, এখানে রানরেটের ব্যাপার ছিল। এখন আর কোনো কিছুর প্রয়োজন পড়বে না। শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হেরে লিগ পর্ব খেলেই দেশে ফিরতে হবে নারী জাতীয় দলকে। শ্রীলঙ্কার কাছে এ হার সত্যিই অবিশ্বাস্য। ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ৩ উইকেট পড়ে গেলেও পরে শারমিন ও নিগারের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ সহজ জয় নিয়ে স্বপ্নপূরণের আশা টিকিয়ে রাখবে। সত্যি বলতে কি, শ্রীলঙ্কাও হয়তো ভাবেনি তারা ম্যাচ জিতবে। কিন্তু শেষের দিকে এসে নিগাররা যেন একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিলেন। এ হার যেমন অবিশ্বাস্য, তেমন এও বলা যায় ক্রিকেটে সব অসম্ভবই সম্ভব বাংলাদেশের। তা পুরুষদের মতো নারী ক্রিকেটাররাও দেখিয়ে দিলেন। তা না হলে টিভি স্ক্রিনে যেখানে দেখাচ্ছিল বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা ৯০ ভাগ, সেখানে হারেন কীভাবে? শেষ ৭ বলে ৫ উইকেটের পতন-একি অবিশ্বাস্য নয়! ২০৩ রান করলেই নিগারদের জয়। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল ব্যাটিংধসে জেতা সম্ভব নয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শারমিন আক্তার ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৮২ রান যোগ করেন। ৬৪ রান করে শারমিন ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার পরও ম্যাচ ছিল শতভাগ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। ৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ১৯১। জয় পেতে দরকার ১২ বলে ১২ রান। উৎসবের প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন মেয়েরা। কিন্তু শেষ দিকে কী থেকে যে কী হয়ে গেল বিশ্বাসই করা যাচ্ছিল না। ৪৯তম ওভারে রিতু মনি ফিরতেই শুরু হয় ধস। এতটা করুণ হাল যে শেষ ওভারে লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর ৪ বলে ফিরেছেন রাবেয়া (১), নাদিয়া (০), নিগার (৭৭) ও মারুফা (৪)।