ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে আবারও উন্মাদনা ছড়িয়েছে। আজ এশিয়া সেরার ক্রিকেট লড়াইয়ে আবারও দুবাইয়ের মাঠে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। এবার প্রতিযোগিতার সুপার ফোরের মহারণ। ফলে দল দুটির মধ্যে খেলার মাঠে চরম উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতা দেখা দিতে পারে- এমনটাই ধারণা দুই দলের সমর্থকদের। কেননা এরই মধ্যে গতকাল তিন ঘণ্টা অনশীলন করেছে পাকিস্তান দল। কিন্তু ভারত ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্স বাতিল করে দেয় সালমান আঘার পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এদিকে পাকিস্তান ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক সূর্যকুমার প্রেস কনফারেন্সে আসেন এবং ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘আমি জানি না কী ঘটেছিল সেখানে।’ এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ম্যাচের উত্তাপের প্রশ্ন এলে তিনি বলেন, ‘দরজা বন্ধ করুন, ফোনের সুইচ অফ করুন এবং ঘুমান।’
পাকিস্তানের এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতীয় দলের হাত না মেলানোর ঘটনা। ওই দিন ম্যাচের টসের পর ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমানের সঙ্গে হাত মেলাননি। যদিও এশিয়া কাপ টি-২০তে গ্রুপ পর্বে দুই দলের ম্যাচটি ছিল নির্বিষ ও একপেশে। সূর্যকুমার যাদবের দল ৭ উইকেটের জয় পায়। ম্যাচ শেষেও ভারতীয় দল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। উল্টো সূর্যকুমার ম্যাচের পর টেনে এনেছেন পেহেলগাম প্রসঙ্গ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন পুরস্কার বিতরণের সময়। মূলত সেই ম্যাচের এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তানের সুপার ফোরের মহারণে।
গ্রুপ পর্বের দুই দলের ম্যাচের পর পাকিস্তান এ নিয়ে অভিযোগ করে। তারা জানায়, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দুই দলের অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করে দেন। পাকিস্তানের বোর্ড দাবি করে পাইক্রফটকে পুরো প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমিরাত ম্যাচ না খেলা, এমনকি এশিয়া কাপ বয়কট করবে তারা। অন্যদিকে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। যদিও পরে আইসিসি জানায়, ম্যাচ রেফারির ওই সময় কিছুই করার ছিল না। তিনি তখন কেবলই একজন বার্তা প্রেরক ছিলেন। পরে আমিরাত ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে শুরু হয়। ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট ক্ষমা প্রার্থনা করলে খেলতে রাজি হয় পাকিস্তান। ওই ম্যাচ জিতে পাকিস্তান ‘এ’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে। আর ভারত অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এ দুই দলের ম্যাচ নিয়ে এমনিতেই প্রবল উত্তেজনা থাকে। তারপর সাম্প্রতিক বিতর্ক সুপার ফোরের ম্যাচটি উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। একদিকে ম্যাচটি পাকিস্তানের প্রতিশোধ, অন্যদিকে ভারতের জয়ের ধারাবাহিকতার ম্যাচ।