টানা খেলার ধকল সামলাতে ব্যস্ত টাইগার ক্রিকেটাররা। বিশ্রাম পান না বললেই চলে। যখন পান, তখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। ২৪ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলার পর লম্বা বিরতি পান লিটনরা। এশিয়া কাপ শুরু ৯ সেপ্টেম্বর। তার আগে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই দীর্ঘ বিরতি কাজে লাগিয়েছে বিসিবি। স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কাইলি কন্ডিশনিং করান ক্রিকেটারদের। মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল সকালে রানিং, ব্লিপ টেস্ট, টাইম ট্রায়াল, স্ট্রেন্থ কন্ডিশন করান। ক্রিকেটাররা চেষ্টার সর্বোচ্চটা করেছেন। ক্রিকেটারদের চেষ্টা দেখে ভালো লেগেছে টাইগার কন্ডিশনিং কোচের। ক্রিকেটারদের অনুশীলন করানোর পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে ক্রিকেটারদের পরিশ্রমী বলেন নাথান কাইলি, ‘ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। আজকেও (গতকাল) সেটির প্রমাণ দেখা গেছে। যে ধরনের কন্ডিশনিং আমরা করেছি, কিছু চ্যালেঞ্জিং ড্রিল ছিল। আপনারা যদি মনে করেন এসব চ্যালেঞ্জিং নয়, তাহলে স্বাগত জানাচ্ছি একদিন আমাদের সঙ্গে এসব করতে। আপনারা তখন বুঝতে পারবেন। ক্রিকেটারদের মানসিকতা ও প্রচেষ্টা অসাধারণ। তারা নিজেদের তাড়িত করে প্রবলভাবে।’ আজ ও কাল ছুটি। ১৪ তারিখে লিটন বাহিনী উড়ে যাবে সিলেট। সেখানে স্কিল ট্রেনিং করবে এবং ৩০ আগস্ট ও ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
কাইলি প্রশংসা করেন বাংলাদেশের ট্রেনারদের। যদিও অপ্রতুলতার কথা বলেছেন। তার পরও স্থানীয় ট্রেনাররা চেষ্টার সর্বোচ্চটাই করেন। তিনি আরও একটি তথ্য জানান, যা সবাইকে অবাক না করলেও আশ্চর্য করেছে। টাইগার কন্ডিশনিং ট্রনার জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো বিশ্বসেরা দলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের পার্থক্য থাকার কারন, ‘বাংলাদেশের উঁচুমানের ট্রেনার আছেন ৩-৪ জন। অথচ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটেই এটার সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে ১০-২০ গুণ বেশি।’ সে হিসেবে দেশ দুটিতে উঁচুমানের কন্ডিশনিং কোচ ৩০-৪০ জন। গতকালের ট্রেনিং নিয়ে কাইলি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিয়েছি এই কারণে যে, কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত ট্রেনিংয়ের কোনো জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। এখানে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস বা ফেল করার ব্যাপার নেই। এটা স্রেফ ক্রিকেটারদের যার যার শারীরিক ফিটনেসে শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা বোঝার ব্যাপার। আমাকে এটা সহায়তা করবে ওদের ব্যক্তিগত ট্রেনিং প্রোগ্রাম সাজাতে।’