♦ হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের বাড়ির দোতলায় লাইব্রেরি ঘর। তিনি সেই ঘরে বসে কাজ করেন। লোকজন এলে সেই ঘরেই কথা বলেন। তার বাড়িতে কুকুর আছে। কেউ এলেই কুকুরটা ডাকাডাকি করে। দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র হেমেন্দ্রপ্রসাদের বাড়ির নিচে এসে হাঁক পাড়তেই কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে এসে দাদাঠাকুরকে সামান্য কামড়ে দিল। হেমেন্দ্রপ্রসাদ তাড়াতাড়ি ওষুধপত্র দিয়ে দাদাঠাকুরের পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলেন। দাদাঠাকুর রসিকতা করে হেমেন্দ্রপ্রসাদকে বললেন, লোকজন এলে তোমার কুকুর কামড়ে দেবে বলে তুমি কি সর্বদা ওষুধপত্র নিয়ে তৈরি থাক?
হেমেন্দ্রপ্রসাদ বললেন, না তা নয়, সবাইকে কামড়ায় না। এই তো কয়েকজন একটু আগে এলো, ওদের কামড়ায়নি। আমার এই কুকুর ভদ্রলোক চেনে। দাদাঠাকুর রসিকতা করে বললেন, না না, তা নয়। আসলে কায়েতের কুকুর তো, বামুনের পা পেয়ে লোভ সামলাতে পারেনি। এ কথা শুনে হেমেন্দ্রপ্রসাদ হেসে উঠলেন।
♦ সবার সঙ্গে খেতে বসেছেন শরৎচন্দ্র দাদাঠাকুর। সুস্বাদু বিভিন্ন পদ। তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। একজন পরিবেশক দাদাঠাকুরের পাতে ছানার ডালনা দিয়ে গেলেন। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নলিনীকান্ত বললেন, দাদাঠাকুর, গরুর ছানার ডালনা আর একটু নেবেন নাকি? সঙ্গে সঙ্গে দাদাঠাকুর বললেন, ‘দাও ভাই, গরুর ছানার অকেশনেই তো এসেছি।’ এ কথা শুনে নলিনীকান্ত ও অন্যরা হেসে উঠলেন।