আমার এক ছোটভাই বললো, এখন মনে হচ্ছে, টেনশনের সিজন চলছে। একবার তো মনে হচ্ছিল, বাসা চেঞ্জ করে ফেলি। মানে হাসপাতালের কাছাকাছি বাসা নিয়ে যাই। কারণ, যে কোনো সময় টেনশনে হৃদয় আক্রমণ হতে পারে। হাসপাতালের কাছাকাছি থাকলে মানসিকভাবে একটু ভরসা পাই আর কী। আমি বললাম, সব ঠিক আছে। কিন্তু এই যে বললি টেনশনে হৃদয় আক্রমণ হতে পারে, এই হৃদয় আক্রমণটা কিসের? ছোটভাই বললো, হৃদয় ইংরেজি হার্ট, আর আক্রমণ ইংরেজি অ্যাটাক। বুঝতেই পারছেন হৃদয় আক্রমণ বলতে কবি এখানে হার্টঅ্যাটাকের কথা বুঝিয়েছেন। আমি বললাম, এত প্যাঁচাতে হবে কী জন্য? একবারে হার্টঅ্যাটাকের কথা বলে ফেললেই তো হয়। ছোটভাই বললো, এমনিতেই টেনশনের শেষ নেই। এর মধ্যে হার্টঅ্যাটাকের নাম মুখে নিতে গেলে ভয়ে বুক কাঁপে। সেই তুলনায় ‘হৃদয় আক্রমণ’ কথাটা বেশ কাব্যিক। শুনলে এতটা ভয় লাগে না। আমি বললাম, এসব হাঁটুভাঙা যুক্তি দিয়ে কি টেনশন কমানো সম্ভব? সম্ভব না রে পাগলা। যেটা করতে হবে, টেনশনের রাস্তা বন্ধ করতে হবে। ছোটভাই বললো, টেনশনের রাস্তা বন্ধ করতে হবে মানে? আপনার কি ধারণা টেনশন রাস্তা দিয়ে আসে? তবে যাই বলেন, টেনশন যদি রাস্তা দিয়ে আসে, তাহলে ভালোই হয়। রাস্তায় একটা জ্যাম বাধিয়ে দিলে টেনশন জ্যামে আটকে থাকতে থাকতে ত্যক্ত হয়ে আবার নিজের বাড়িতে ফিরে যাবে। আমি বললাম, বুঝতে পারছি, তুই মজা করার চেষ্টা করছিস। কিন্তু এই যে অসময়ে মজা করার চেষ্টা, এটাও কিন্তু টেনশন বাড়ার একটা কারণ। কারণ, মজাটা করার জন্য নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হচ্ছে। মানে মজা করার জন্য জোরাজুরি করা আর কী। তো এমনিতেই যেখানে চাপের শেষ নেই, সেখানে যদি মজা করার জন্য আলাদা চাপ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে জীবনটা চাপে চাপে তেজপাতা না হয়ে যায় কই? ছোটভাই বললো- এই যে চারপাশে এত চাপ, এত টেনশন। এটা থেকে বাঁচার উপায় কী? আমি বললাম, বাঁচার কোনো উপায় নেই। যতক্ষণ পৃথিবীতে আছিস, টেনশন করতেই হবে। বলতে পারিস, জীবনের অপর নাম টেনশন। ছোটভাই বললো, তাহলে তো বিষয়টা বোতলবন্দি হয়ে গেল। আমি অবাক হয়ে বললাম, বোতলবন্দি হয়ে গেল মানে? ছোটভাই বললো- আপনি বললেন না জীবনের অপর নাম টেনশন? এদিকে পানির অপর নাম জীবন। আর পানি তো বোতলেই থাকে, নাকি? আমি বললাম, জি, পানি বোতলেই থাকে। বস্তায় থাকে না। কিন্তু এখানে পানির বিষয়টা টেনে আনা সমীচীন হয়েছে? ছোটভাই এবার প্রায় লাফিয়ে উঠলো। বললো, এই তো আরেক টেনশনে ফেলে দিলেন। আরে ভাই, ‘সমীচীন হয়েছে’ বলতে গেলেন কেন? উচিত হয়েছে কিনা, এটা বলতে পারতেন। আমি বললাম, সমীচীন বলতে সমস্যা কোথায়? ছোটভাই বললো, সমীচীন বলার কারণে চীনের কথা মনে পড়ে গেল। করোনা ভাইরাসের প্রথম দেখা ওখানেই। এদিকে হঠাৎ করেই করোনা বাড়তে শুরু করেছে। টেনশনের তো শেষ নেই। আমি বললাম, টেনশনের সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। আর মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় হচ্ছে... ছোটভাই আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় আমাকে শেখাতে আসবেন না। আমার শেখা আছে। আর ভয়ংকর অভিজ্ঞতাও আছে। আমি খানিকটা ভয় পেয়ে গিয়ে বললাম, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা মানে? ছোটভাই বললো, আমার বউ সেদিন বললো টেনশনের সময় মাথা ঠান্ডা রাখার উপায় নাকি তার জানা আছে। এরপর টানা তিন দিন আমার এমন হাঁচি কাশি হলো, আমার যন্ত্রণায় বিল্ডিংয়ের সভাপতি মিটিং ডাকতে বাধ্য হলেন। কারণ, সবাই তার কাছে অভিযোগ করেছিল, আমার বিকট হাঁচির জন্য নাকি বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরতে পারে। আমি বললাম, বাড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস তোর গেলো না। ছোটভাই বললো, না, মানে মাথা ঠান্ডা করতে মাথা ফ্রিজের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম তো!
শিরোনাম
- লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয় টাইগারদের
- এনসিপি'র উপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
- গোপালগঞ্জে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এনসিপির
- ডোপিংয়ের দায়ে ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় ৪ বছর নিষিদ্ধ
- বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন
- ‘সোনা জান’ নিয়ে হাজির কনা
- ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা
- আবারও ৩০ বিলিয়ন ছাড়াল রিজার্ভ
- খালেদা জিয়ার সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের এখনই সময় : পিনাকী
- ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল
- এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় অলি আহমদের নিন্দা
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ
- এবার ভারত-চীন-ব্রাজিলকে কঠোর হুঁশিয়ারি ন্যাটোর
- আবারও নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের লড়াইয়ে সেই অ্যান্ড্রু কুমো
- বিরলে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই
- প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষে অটোরিকশা খালে, যুবক নিহত
- এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের
- পাকিস্তানি এয়ারলাইনসের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল যুক্তরাজ্য
- নীলফামারীতে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ পালিত
- বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে বৃদ্ধার মৃত্যু