বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও আমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ জনপদ পানিতে ডুবে গেছে। বাঁধের বাইরে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ফলে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবার অতি জোয়ার এলেই ইলিশা ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট তলিয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পানি ঢুকে পড়ায় অনেক ঘরে চুলাও জ্বলে না। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমরসমান। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত রাজাপুর, মাঝের চর, মদনপুর, মেদুয়া, ভবানিপুর, চরফ্যাশনের খেজুরগাছিয়া, তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচরা, সোনাপুর এবং মনপুরা উপজেলার কলাতলিসহ অনেক চরাঞ্চল।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি তজুমদ্দিন পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে, যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ। চরফ্যাশনের ক্ষতিগ্রস্ত বেরিবাঁধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামতের কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় ভোলা জেলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, মনপুরা-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ১০টি নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক