আমার এক প্রতিবেশী বললেন, ছোটবেলায় আমার একটা সমস্যা ছিল। কথা বলার সময় তোতলাতাম। এরপর বড় হলাম। কিন্তু তোতলানোর সমস্যাটা দূর হলো না। তারপর বিয়ে করলাম। বিয়ের বছর পার হতে না হতেই তোতলানোর সমস্যাটা গায়েব। আমি বললাম, বাহ, দারুণ তো! তা তোতলানোর সমস্যাটা কীভাবে গায়েব হলো? কী চিকিৎসা করিয়েছিলেন? কোন ডাক্তার? প্রতিবেশী বললেন, কোনো ডাক্তার না রে ভাই। দোকানদার। কাপড়ের দোকানদার। আমি অবাক হলাম, কাপড়ের দোকানদার আপনার তোতলানোর সমস্যা দূর করে দিয়েছে? কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? প্রতিবেশী বললেন, অসম্ভবের কিছুই না। স্ত্রী আমাকে নিয়ে যে মার্কেটে কাপড় কিনতে যায়, সেই মার্কেটে ৫০০ টাকার কাপড়ের দাম চায় ৫ হাজার টাকা। তারপর এই হাজারকে শ তে আনতে গিয়ে আমাকে যে পরিমাণ দরদাম করতে হতো মানে যে পরিমাণ কথা বলতে হতো; কী আর বলব ভাই। আমার তোতলানোর সমস্যা দূর হয়ে গেল। আমি বললাম, কিন্তু এই যে দরদাম বা দর কষাকষির বিষয়টা, এটা কিন্তু ভালো না। জিনিসপত্র বেচাকেনা হওয়া উচিত এক দামে। এবার প্রতিবেশী হাসতে শুরু করলেন। আমি হাসির কারণ জানতে চাইলাম। প্রতিবেশী বললেন, হাসির কারণ বলতে হলে একটা ঘটনা বলতে হবে। একদিন আমার নিজের জন্য একটা শার্ট কিনতে গেলাম। তো যে দোকানে ঢুকলাম, সেই দোকানের নানান জায়গায় লেখা ‘একদাম’। আমি খুব খুশি হলাম। যেহেতু ‘একদাম’ হলে দর কষাকষির ঝামেলাটা থাকে না। কিন্তু যেই একটা শার্ট হাতে নিলাম, হাত পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো। বুঝতেই পারছেন, কত দাম! আমি দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম, এই শার্টটার দাম ৭ হাজার টাকা কীভাবে হয়? দোকানদার বললেন, টেনশনের কিছু নেই। দামাদামি করার সুযোগ আছে। আমি অবাক হয়ে বললাম, দামাদামি করার সুযোগ আছে মানে? কেন দামাদামি করার সুযোগ থাকবে? আপনার দোকানে তো লেখা ‘এক দাম’। তো যে দোকান এক দামের দোকান, সেই দোকানে কি দামাদামি করা যায়? দোকানদার এবার বললেন, আপনি মনে হয় বিষয়টা বুঝতে পারেন নাই। এই যে ‘এক দাম’ লেখা, এই একদাম কিন্তু সেই এক দাম না। মনে করেন আপনি একটা শার্ট কিনলেন। একটা শার্টের জন্য কি আপনি দুইটা দাম দেবেন? না। একটা শার্টের জন্য একটা দামই দেবেন। আর আমরাও একটা দামই রাখব। একটা শার্টের জন্য দুইটা দাম না রাইখা একটা দাম রাখার যে ব্যাপারটা, এটাই হচ্ছে ‘একদাম’। প্রতিবেশীর লম্বা বয়ান শুনে আমি হাই ছেড়ে বললাম, এগুলো হচ্ছে অপকৌশল। দর কষাকষির সিস্টেমটাও বন্ধ হওয়া উচিত। নইলে কাস্টমারের হয়রানি বন্ধ হবে না।
শিরোনাম
- নীরব ঘাতক মাইক্রোপ্লাস্টিক: শরীরের ভেতরে কী ঘটে চলেছে?
- কুয়ালালামপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং ফেস্টিভ্যাল ২০২৫
- পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে কেন দরকার সতর্কতা?
- ৭২ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
- জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ব্যয়সাশ্রয়ী স্থানীয় উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ
- ‘ফেসবুক মার্কা সরকারের পদে পদে ভুল, মাসুল দিচ্ছে জনগণ’
- বন্যায় ফেনীতে দেড়শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, কৃষি-সড়ক-মৎস্য খাত বিপর্যস্ত
- এক ক্লিকেই রক্তদাতা
- আমড়া খেলে অনেক উপকার
- গাজার পথে মানবিক জাহাজ ‘হানদালা’তে ইসরায়েলি হামলা, ২১ আরোহীর খোঁজ নেই
- আজ ইকবাল খন্দকারের অতিথি ফাহমিদা নবী
- ৩৫ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ': সৌরজগতের বাইরের প্রাণের সম্ভাবনা!
- এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ : জিল্লুর রহমান
- গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ লুটের প্রমাণ মেলেনি: ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা
- লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩
- ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাশেদ খাঁন
- যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-কানাডায় কমছে ভারতীয় শিক্ষার্থী, বাড়ছে বাংলাদেশে
- উইন্ডিজের বিব্রতকর রেকর্ডের দিনে জয় অস্ট্রেলিয়ার
- চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা বৈষম্যবিরোধী ৫ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা
- বিমান বিধ্বস্তে নিহত মাসুমার দাফন সম্পন্ন, শোকাহত গ্রামবাসী
দরদাম আনলিমিটেড
আমার এক বন্ধুর ঘটনা। দোকানদার যখন একটা জিনিসের দাম ৫ হাজার চাইল, সে বলল ৫০০। দোকানদার বলল, ‘আচ্ছা, টাকা দেন।’
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
