শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:০৮, বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা নিয়ে আলোচনার আগে বিএনপি- জামায়াতের শাসনামলের একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছি।  

আচরণে ছটফটে, চোয়াল ও চিবুক থেকে একগুচ্ছ দাড়ি না ঝুললেও মাথার ওপর তেছড়া করে বসানো একটি মুখাবয়ব-এমন মূর্তিতে একটা লোককে দ্রুতপদে হেঁটে চলে যেতে দেখেছিলাম, তখন তাঁর দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল যে, চার্লি চ্যাপলিন ও ক্ষুদে পুরোহিত মিলিয়ে তৈরি একটি মূর্তি চলে যাচ্ছে। তার দু'চোখের দৃষ্টি সোনামুখি সূচের মুখের মতো তীক্ষ্ণ। যার দিকে তাকায় তার দেহে যেন সেই দৃষ্টি বিঁধতে থাকে। শত্রুমিত্র উভয়কেই সন্ত্রস্ত করে তোলার মতোই তাঁর চোখ। প্রতিহিংস কীটের প্রকৃতিতে একটা উদ্ভট কিছু রয়েছে। মেজাজ চড়িয়ে যখনই কথা বলেন তখনই বোঝা যায়, আজগুবি ও অবাস্তব কতগুলো ধারণায় তার মন ভরে রয়েছে। সে নিতান্ত হুজুগবাজ। মানসিক ব্যাধির মতো একটা ক্ষমতাবোধের মোহ তার মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। নিজের ক্ষমতা সম্বন্ধে ধারণা বাস্তবতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দলটি ছেড়ে চলে গেছেন অনেকেই যারা তার পিতার সাহচর্যে বেড়ে উঠেছিলেন। আর এখন যারা নেতা রয়েছেন, তারা কতগুলো খড়ের তৈরি দুর্বল মানুষ মাত্র।

লোকটির ত্রাস সঞ্চারকারী জিঘাংসা ও ক্রোধের জোর সফল হয়ে উঠতে পারেনি। ২৪টি লাশ অবশ্য ঝরেছে। ভয়ংকর ওই চোখ ফাঁকি দিয়ে মূল টার্গেট হওয়া ব্যক্তিটি প্রাণে বেঁচে যান,-যা ছিল নিতান্তই অলৌকিক এক ঘটনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই আগস্টকে ফের রক্তাক্ত করার ঘোষণা নতুন নয় বরং বারবার উচ্চারিত হয়েছে তার গুরুজনদের থেকে।  

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এই উক্তিটির কারণে কারো বুক ধরফর করে কিনা জানিনা-তবে আব্দুল জলিলের "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলার সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে না ফেলাই ভালো। আওয়ামী লীগের ভান্ডারে মুক্তিযুদ্ধসহ গণ-অভ্যুত্থানের নানা সাফল্য থাকলেও ওই "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলাকে মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল জলিল ওই ফর্মুলা দিয়ে বরং নেতাকর্মীদের বিপদে ঢেলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ঘাবড়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে "জনতার মঞ্চ" অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মুখে তাদের ক্ষমতাচ্যুতির অতীতটা এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছিল। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব প্রতিহিংসার পাল্টা একটা তত্ত্ব হলে ভালো। আর যদি পরিকল্পিত কোন ফর্মুলা হয়ে থাকে তাহলে তা প্রকৃতি কি হবে? কারারুদ্ধ বেগম জিয়াকে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে বের করে আনবেন তারা? মানে কি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে। অবশ্য এ পরিকল্পনা একেবারে অগণতান্ত্রিক নয়, গণঅভ্যুত্থানের একাধিক ইতিহাস রয়েছে। যা আমাদের হৃদয়কে এখনও উদ্বেলিত করে। 

ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটেছিল। তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চুলোয় দিয়ে মুক্তি দিতে হয়েছিল শেখ মুজিবকে। জনসমুদ্র শেখ মুজিবকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধি দেয় বটে কিন্তু তাঁর কথায় কিন্তু দেশ চলেনি। শাসনক্ষমতায় আইয়ুবের স্থলে আরেক জেনারেল ইয়াহিয়ার আবির্ভাব ঘটেছিল। এ সবই অর্জনের মূলে ছিল আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও দশ নেতার নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা। বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে হুট করে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়নি। সত্তরের অবাধ নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ রায় অর্জন করতে হয়েছে। একাত্তরের মার্চে ন্যায়সঙ্গত ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্র যখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-তখনই জনগণ গর্জে উঠেছে। এরপর থেকেই কার্যত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। ২৫ মার্চ গণহত্যারর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও তাঁরই নির্দেশনায় মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। 

কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটি গণসংগঠনের পক্ষে এ যাবৎ কোন অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার নজীর নেই। বরং নির্বাচিত ক্ষমতাসীন হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগকেই দু-দুবার সামরিক অভ্যুত্থানের লেবাস দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। প্রথমবার ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। প্রসঙ্গত ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করলেও মোট ২৩৭টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই লাভ করে ১৪৩টি। অপরদিকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে শেরেবাংলার কেএসপি পায় মাত্র ৪০টি আসন। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী মোটে ৯টি আসনই পেয়েছিল। প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলেও তা করেনি। যুক্তফ্রন্ট চুক্তিতে ছিল, প্রাদেশিক পরিষদ নেতা অর্থাৎ পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন শেরেবাংলা আর পাকিস্তান গণপরিষদ নেতা হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাই হয়েও ছিলেন তারা। অবিভক্ত বাংলার দুই প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর ত্রিমুখী কোন্দলের মুখে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় সেই বিজয় ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ১৩ মাস সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান এবং আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে পূর্বপাকিস্তান শাসন করলেও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে দেশবিদেশে নানারকম ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধারণা করছে। জন্মলগ্ন থেকেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান দলটির নীতিনৈতিকতায় ফুটে ওঠে। 

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দলটির আত্মপ্রকাশই ঘটেছিলো-নিম্নে উপর্যুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে।
"সাম্রাজ্যবাদী-সরীসৃপের ফোঁসফোঁস শব্দ সমাজের আনাচে-কানাচে সর্বত্র শোনা যাইতেছে-সেই ফোঁসফোঁস শব্দ যেন এই যুগের সঙ্গীত। আমাদের কওমী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী মুসলিম লীগ এই সরীসৃপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইয়া তাহাদের বিষদাঁত উৎপাটন করিতে বদ্ধপরিকর।"

পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম মেনিফেস্টোর ভাষা ছিলো এমনই। কালক্রমে মেনিফেস্টো থেকে কথাগুলো উধাও হয়েছে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের সেই ফোঁসফোঁস শব্দগুলো এখনও কি আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না? আওয়ামী লীগকে সরীসৃপের বিরুদ্ধে তেইশ বছর সংগ্রাম করে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ এবং পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রূপান্তর ঘটলেও সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। বরং স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের চার নেতার জীবনও কেড়ে নেয়।

খুনি মোশতাক রাষ্ট্রপতির ভাষণে বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে অন্যকোনো পন্থায় ক্ষমতা থেকে সরানোর পথ সামনে না থাকায় সামরিক বাহিনীকে এই হত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হতেন না আর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিটটা আসলে হত্যাকারীও নিতে পারেনি বরং পুরোপুরি নিয়েছেন জেনারেল জিয়া। সেই সূত্র ধরেই তো বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের রাজনীতি। স্বভাবতই এটা তারা মনপ্রাণে বিশ্বাস করে বলেই বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার সহ্য করতে পারেন না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা হীন চিন্তারই ফলশ্রুতি। 

দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি বা বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের কোন কর্মসূচিও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে ১০ ডিসেম্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে কি কারণে? তাহলে কী
আরও একটি ২১ আগস্টের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসরমান তারা? ক্ষমতায় থেকে গোটা প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলাও যখন জাতির পিতার কন্যার লক্ষভ্রষ্ট হয়, তখন ক্ষমতার বাইরে থেকে বর্তমান শোচনীয় অবস্থায় আরেকটি গ্রেনেড হামলার চিন্তা নিশ্চয়ই করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহনের দিন আর নেই। আমি একটি টকশোতে বলেছিলাম, সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো একটি রাজনৈতিক দলপ্রধানের হাত থেকে সেনানিবাসের বাড়িটির দখল অবমুক্তকরণ। এখন যেমনি করে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত হতে পারছে-সেটা সেনানিবাসের বাড়ি অবমুক্ত করা না হলে সম্ভব হতো না। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত এখনও ছোবল দিতে চাইবে-কিন্তু তাই বলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নতজানু অবস্থান গ্রহণ করবেন-তা হতে পারে না। বিশেষত যে দল স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী, সেই দলের প্রধান আর তিনি যদি হন জাতির পিতা কন্যা তবে তো নতজানুর প্রশ্নই নেই। এজন্য বীরদর্পে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে অন্যের মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে-অথচ তাদের দেশেই অনেক হত্যার বিচার হয় না। মানবাধিকারের কথা বলা হয় অথচ, আমার মা-বাবা-ভাইদের হত্যাকারীদের ঠাঁই দেয়। দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে দেয় না। 

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের মূলেও ছিল বিদেশী ষড়যন্ত্র। দেশ-জাতির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক মধুর নয়, এটাকে পূঁজি করতে চাচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহানুভূতিও যথেষ্ট রয়েছে। বিরোধীদের ক্ষমতায় ফিরতে হলে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতাদখল করে দল গঠনের যে নজীর সৃষ্টি করেছেন, এখনকার বাস্তবতায় সেই সুযোগও নেই। 

"মানবতার চূড়ান্ত মুক্তি সংগ্রাম যাহাতে বিলম্বিত না হয়, সেজন্য জনতাকে তাহাদের সমস্ত ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভেদ বিসর্জন দিয়া এককাতারে সমবেত হইতে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন আবেদন জানাইতেছে"-এই উচ্চারণ করেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। জনতা ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েই রচনা করেছিলো, চুয়ান্নোর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নোর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতায় লেপ্টে আছে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত এবং আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। জনতা ঠিকই আওয়ামী লীগের আহবানে নিজেদের উৎসর্গ করেছিল, কিন্তু দলগত বিভেদ বিসর্জন দেয়ার আহবান নেতাদের মধ্যে পুরোপুরি সাড়া ফেলতে পারেনি। যে কারণে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়লাভের পরও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। 

আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন সদস্য শেরেবাংলার কেএসপিতে এবং আওয়ামী লীগ ভেঙে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ হলে প্রায় ২৪ জন সদস্য আইন পরিষদে ফ্লোরক্রসিং করেন। গোলাম মোহাম্মদ ও ইস্কান্দার মির্জা আওয়ামী লীগ ও কেএসপির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকটতর করে তোলেন যে আইন পরিষদ কক্ষেই স্পিকার শাহেদ আলী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সুযোগে ইস্কান্দার মির্জাকে খেদিয়ে আইয়ুব খান দশ বছরের জন্য বাঙালিকে গোলাম করে রাখেন। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই বাহাত্তরের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি বিধান করে ফ্লোর ক্রসিং বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ এক দলের প্রতীকে বিজয়ী হয়ে আরেক দলে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়। সবকিছুতেই জনতা সমস্ত ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েছিল। বিসর্জন দেয়নি বরং নেতারাই। তারা অনেকে ছয় দফার বিরোধিতা করেন। আবার অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নেতারাই দলে দলে গিয়ে খুনি মোশতাকের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছে। ওয়ান ইলেভেনকালীনও আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার প্রতি দলীয় নেতাদের আস্থা আনুগত্যের পরিমাণ। 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই যে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসলেও সরকারের ভেতরেই ভূত চেপে বসেছিল। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন, সিইসি সাঈদ, সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন সবই আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত। এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাকে মনে করা হচ্ছিল নির্ভেজাল। কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল হলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিপর্যয়ের। ওই ফলাফলের জের দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে হত্যা, ধর্ষণ আর সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনে। সেই বিভীষিকার কথা মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।

আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে কঠিনতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। বহু নেতাকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের হাতে জীবন দিতে হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া এমপি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি, মমতাজ উদ্দিন, মঞ্জুরুল ইমাম এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ শীর্ষনেতারা বেঁচে গেলেও জীবন কেড়ে নেয় নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান, মোস্তাক আহমেদ সেন্টুসহ ২৫ নেতাকর্মীর। এই আগস্টেই দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের কথা মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হেফাজতের তাণ্ডবের কথাও তো সেদিনকারের ঘটনা। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা যায়নি আজও। ১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে-বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু চলছে। এই সব ভ্রান্ত তত্ত্ব দিয়ে বিএনপির সাধারণ কর্মীদের বিপথগামী পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এতে করে সরকারের সুযোগ হবে কর্মীদের গণহারে জেল-জুলুমের শিকার হতে। আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল ৩০ এপ্রিল ফর্মুলা দিয়ে হাস্যকরে পরিণত হয়েছিলেন-তার কোন ক্ষতি হয়নি-ক্ষতি যা হবার সাধারণ নেতাকর্মীদের হয়েছিল। কৃতবিদ্য মানুষের মনের সুক্ষ্ম অনুভূতি ও আবেদন নিজের মন দিয়ে উপলব্ধি করার শক্তি ও ক্ষমতা নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধু কন্যার আছে। তাই সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রুখে দেয়ার সাহসও তার আছে। যে সাহস শেখ হাসিনাকে দিয়েছে সততা ও দেশপ্রেম। 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সর্বশেষ খবর
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে