শত বছরের ইসহাক আলী মাস্টার কুষ্টিয়া থেকে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে। প্রথম দিনেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। এ সম্মলনে তার যোগদানের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। আমার কাছে টানা ১১ বছরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের জৌলুস, চাকচিক্যময় আয়োজন আকর্ষণীয় যতোটা নয়, এমনকি ঘোষিত কমিটিও যতোটা না আগ্রহের তার চেয়ে ইসহাক মাস্টারের আসাটাই বড় চমকের। ভাবনার।
এরাই আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর তৈরি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। চারবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ভাষার আন্দোলন থেকে সব সংগ্রামের সাথী। বঙ্গবন্ধুর পথের স্নেহ কুড়ানো কর্মী। দলের সব সম্মেলনে আসেন। এমনকি ছাত্রলীগ, যুবলীগের সম্মেলনেও। এই প্রবীণ কর্মীর খবর গণমাধ্যম আনলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে কি নেই? আমার জানার খুব কৌতূহল।
জানা থাকলে তাকে বর্ণাঢ্য সভায় একবার তুললে এতো নাচ গান আয়োজন, এতো নায়ক-নায়িকার আগমন ছাপিয়ে তুমুল করতালি তিনিই পেতেন। আর সকল সমবেত সুবিধাবাদী ক্ষমতার করুনাশ্রিতদের অবজ্ঞা করে তিনিই হয়ে উঠতেন আওয়ামী লীগের তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস।
দেশবাসী ও দেখতেন 'আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম'। একটি টিভি চ্যানেল তাকে খুঁজে বের করে কথা বলেছে। তিনি বলেছেন, মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চান, দোয়া করতে চান। কেউ কি আছেন, শতবর্ষী ইসহাক মাস্টারকে মুজিব কন্যার সাথে দেখা করানোর?
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
