শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৬, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ যে অভিযোগ করেছেন অনেকে তা নিয়ে হাসি-তামাশা করছেন। কেউ কেউ একে চলতি বছরের অন্যতম সেরা কৌতুক বলে অভিহিত করেছেন। জনাব হানিফের মূল কথা হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।  তার ভাষায় ‘ইসি আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয়।’ গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসি বিএনপির প্রতি সদয়, আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে। বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ আচরণ চাই। সেই দাবি জানাতে কমিশনে এসেছিলাম।’ ১০টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যাপারেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছে সরকারি দল। এ অভিযোগকে কৌতুক বলে অভিহিত করা হচ্ছে এবং এই কারণে যে, বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চল থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত বলেই প্রতিভাত হয়। বিএনপি নির্বিঘ্ন ভোটের গ্যারান্টি চেয়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আদরের দুলালের ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে রক্তঝরা সন্ত্রাস-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধ করতে পারছে না। বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপি-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্যে ভোট ডাকাতি আরও বেশি যশ-বৃদ্ধি হবে বলে জনমনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়ে চিঁড়া ভেজাতে চাচ্ছে, কিন্তু চিঁড়া ভিজছে না। ওসি-ডিসিরা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্দেশনা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন সরকারের স্নেহমাখা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহস পাচ্ছে না। ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারের মাইক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পথসভার স্থানে চালানো হচ্ছে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা।’ বিএনপিসহ অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের একচোখা নীতির বিরুদ্ধে বলে আসছে শুরু থেকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, ফেমাসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানও পৌরসভা নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা প্রশ্ন তুলে রেখেছে। তারা স্পষ্ট করেই বলেছে, সরকারি দলের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি আচরণবিধি ভঙ্গ করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালালেও নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৩ জন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাতে ভাটার টান শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর দুজন সংসদ সদস্যকে সতর্ক করে দিয়েই দায় সেরেছে কমিশন। অনেকে বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পরই কমিশনের মতিগতি পাল্টে যায়। তারা নমনীয় হয়ে যায় সরকারি দলের আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের প্রতি।

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায় থেকেই। অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াও দুটি বিষয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে না থাকা। একটা সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছিল সীমিত। এখন সে সংকট নেই। যথেষ্ট লোকবল থাকা সত্ত্বেও ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টি পৌরসভার নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত যে, নির্বাচন কমিশনকে এড়িয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেন এতে খবরদারি করবেন? এর উত্তর প্রশাসনের দলীয়করণের সুবিধাটা ষোলআনা তুলে নেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা। অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশে যখন যে দল সরকার পরিচালনা করছে সে দলই নিজেদের মনের মতো করে স্থানীয় প্রশাসন সাজিয়েছে। এমপি সাহেবরা নিজেদের পছন্দ মতো ওসি-টিএনও নিয়ে যান নিজেদের থানায়, ডিসি-এসপি বেছে নেন মন্ত্রী মহোদয়রা। এখন তো এমনো শোনা যায় যে, কেন্দ্র থেকেও দলানুগত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জেলা-থানায় পাঠানো হয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাধু ও নিরপেক্ষ ভূমিকা কতটুকু প্রত্যাশা করা যায়? দ্বিতীয় বিষয়টি আরও সেনসেটিভ। এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। সাংগঠনিক অবস্থা সুশৃঙ্খল ও মজবুত হলে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন নির্ধারণ হওয়া উচিত ছিল জেলা পর্যায়ে। কোথাও কোনো বিরোধ দেখা দিলে ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্র রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারত। যেহেতু এটি সরকার অদল-বদলের জাতীয় নির্বাচন নয়, সেহেতু এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন্দ্র যদি হস্তক্ষেপ করেও, প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব বিষয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন দলের কোন পর্যায়ের নেতা? ভাবুন তো সত্তরের নির্বাচনের কথা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত মনোনীত প্রার্থীদের যে পরিচিতি চিঠি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল তা কি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরে? না। চিঠি গিয়েছিল দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লার স্বাক্ষরে। দল ছিল সংহত, সুনিয়ন্ত্রিত। জনসমর্থন ছিল ‘দিগন্তপ্লাবিত’। তাই এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর নাম ‘ব্যবহারের’ কৌশল প্রয়োগ করতে হয়নি। এরপরও দেশে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমন কাজ করার প্রয়োজন কেউ-ই অনুভব করেনি। পৌরসভার নির্বাচন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্তর। এখানে দলের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষরটা এত প্রয়োজনীয় হয়ে গেল কেন? কেউ কেউ বলেন, দলীয় প্রধান যদি সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বিষয়টি ভিন্নভাবে ভাবা হতো। এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর। কঠোরভাবে বিষয়টির সমালোচনা হচ্ছে এই কারণে যে, সরকারি দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি বিব্রতকর অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার জন্য পরামর্শকরা হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্যই একটা চরম বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা (যারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট) কী করবেন এখন? সরকার দলীয় প্রার্থীকে এখন ভাবা হচ্ছে সরকারি প্রার্থী হিসেবে। সরকারি প্রার্থী পরাজিত হলে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত হতেই পারেন। ফলে তাদের তো দ্বিতীয় চিন্তার সুযোগ কম। এমতাবস্থায় এ অভিযোগ জোরালো হতেই পারে যে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই পৌর মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে (প্রায় ৭৫%) প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর নির্বাচনী দায়িত্ব অর্পণ এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ন— একটির সঙ্গে অপরটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। যে কেউ ভাবতেই পারেন যে, এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এই নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। ভোটের দিন কী হতে পারে নির্বাচনী প্রচারকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দলটির জন্য সুখকর নয়। অবিরাম তারা তা বলে চলেছেন। তারপরও তারা বলছেন ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে থাকবেন। এটি অবশ্যই একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত। আরেকটি তত্পর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে তাদের শক্তিশালী জোটমিত্র জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিশে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবে। কিন্তু তা হয়নি, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বাইরে থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৩৫টি সম্ভাবনাময় আসনে তারা মেয়র পদে লড়ছেন। এর বাইরেও তাদের প্রার্থী আছে। কোনো প্রকার আসন সমঝোতায় তারা আসেননি। বিএনপির তরফ থেকেও তাদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের যে গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সভায় জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত ছিল। প্রচার আছে যে, জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে সরকারের একটা গোপন সমঝোতা হয়েছে এবং সেই সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। তারা নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থীর ভোট কমবে— হিসাবটা এমন। কোনো কোনো পৌরসভায় যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে বিএনপি প্রার্থীর অবস্থা খুব ভালো সেখানে জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। অনেক পৌরসভায় ২-১টি কাউন্সিলর পদে সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে সরকারদলীয় প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন করছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে জামায়াতের এমন রহস্যময় ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জামায়াত তা করেনি। তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিল এবং কয়েকটি কমিশনার পদে জয়ও পেয়েছে। পাঠক, লক্ষ্য করে থাকবেন যে, পৌর নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোথাও কোথাও সংঘাতের খবর পাওয়া গেলেও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো ঘটনা ঘটার খবর এখন পর্যন্ত তেমন চোখে পড়েনি।

সরকারি দল বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গে ‘ব্র্যান্ডেড’ করে বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চিত্রিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে এবং অনেকটা পেরেছেও। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং সর্বশেষ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দূরত্ব এবং জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্কের গোপন নৈকট্যের ধারণা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব সৃষ্টি করেছিল। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, বিএনপির ঘাড় থেকে জামায়াতী ‘ভূত’ বুঝি নামল। কিন্তু কোনো এক অশুভ শক্তি বিএনপিকে বোধহয় স্থির হয়ে সম্ভাবনার সড়কে উঠতেই দিতে চাচ্ছে না। সবাই জানেন যে, বিএনপি এখন একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। হটকারী রাজনৈতিক পন্থা অনুসরণ করে, বিশেষ করে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির আবরণে যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, বিএনপি তার দায় এড়াতে পারেনি। সরকারও সাফল্যের সঙ্গে সব পেট্রলবোমা হামলা, মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, জাতীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি সব কিছুর জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী— তা জনসাধারণের শান্তিপ্রিয় অংশকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত দল এবং সহযোগী দলের প্রায় সব নেতা-কর্মী। অনেক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীও মাশুল গুনছেন দলের ভুল রাজনীতির। রাজনীতিবিদদের কোনো দলে যদি কোনো মূল্য না থাকে, পদ-পদবি দিয়ে যদি তাদের ‘স্টাফ অফিসারের’ মতো বিবেচনা করে অনুগত হেনছম্যানরূপী (Henchman) কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হয়, সেই দল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করবেই। বিএনপি কর্মচারীনির্ভর হওয়ায় চরম মাশুল দিচ্ছে। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত (গণনা পর্যন্ত) নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত বিএনপির সঠিক গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। সংগঠনটির মধ্যে একটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তৃণমূল পর্যায়ে। অবশ্য বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে বোঝার উপায় নেই যে দলটি দেশের ২২৪টি (১০টি বাতিল হয়েছে) পৌর এলাকার বিশাল কর্মযজ্ঞে মেতে আছে। ঢাকায় দলের এই করুণ দশার পেছনের কারণ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নেতিবাচক কার্যকলাপ। তারপরও সারা দেশে দল-সমর্থকদের মধ্যে একটা আশাজাগানিয়া ভাব জেগেছিল। ভাবা হচ্ছিল, এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেবে দলটি। সরকার বাহ্যিক কিছু সুযোগ তো দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন, যারা এতদিন ‘গর্তে’ ছিলেন তারা নির্বাচনী প্রচারে নামতে সাহস পাচ্ছেন, তৃণমূলের যেসব নেতা কর্মীকে যৌথবাহিনী এতদিন দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তা গত এক মাস অনেকটাই শিথিল; তারা এখন বাড়িঘরে ফিরতে পারছে, ঘুমাতে পারছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মাঠ-সংগঠন। হঠাত্ই আবার ‘উল্টা গীত’। পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনভিপ্রেত এক মন্তব্য দলটিকে আবারও এক কঠিন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে দিল। মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সমাবেশে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মীমাংসিত একটি বিষয়কে অগ্রাহ্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। অন্য সবারই কথা বাদ দিলাম, তিনি এ প্রশ্নে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকেও চ্যালেঞ্জ করলেন। ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া একটি লেখা লিখেছিলেন। ছাপা হয়েছিল সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে বহু পত্র-পত্রিকা-সংকলনে লেখাটি ছাপা হয়েছে। তাতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলেই সম্বোধন করেছেন এবং স্পষ্টভাবে ৩০ লাখ শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম লুণ্ঠিত মা-বোনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসরদের নৃশংসতাকে হালকা করে দেখার প্রবণতা হিসেবে কেউ কেউ বর্ণনা করতেই পারেন। এমন একটা সময় কেউ তাকে উসকে দিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যটি বলিয়ে নিল, যখন পাকিস্তানিরা বলছে একাত্তরে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি; যে কথা জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ প্রজন্মও বলে যাচ্ছে। এ বক্তব্যকে কেউ অবশ্য জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির শিথিল সম্পর্কটা আবার উষ্ণ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন বলে মনে করছেন। এই মহল বিএনপির এ অবস্থানকে আত্মঘাতী বলে মনে করেন। বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তারা বিষয়টি সহজভাবে নেবেন বলে মনে হয় না। পদ-পদবি, দলে মূল্যায়ন ইত্যাদি প্রশ্নে নানা কারণে অনেকে কম্প্রোমাইজ করে চলেছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ও আবেগাশ্রিত বিষয়ে সবাই মুখ বুঝে নাও থাকতে পারেন।

অনেক সমর্থকের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। এটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হবে। বেগম খালেদা জিয়া ভুল স্বীকার করে এ ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যা দিলে ভালো করবেন। যে কথায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থিরা খুশি হয়, সেই কথা বলে কোনো দলের কী লাভ?  বাংলাদেশেরই বা কী লাভ? বেগম খালেদা জিয়াকে কেউ যদি এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, এ ধরনের বক্তব্য পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর অনুকূল প্রভাব বিস্তার করবে সে পরামর্শ শুধু ভুলই নয়, সর্বনাশা। সেই সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে কেন পা রাখলেন বেগম খালেদা জিয়া?

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
সর্বশেষ খবর
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন

২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়
হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা
তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত
ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০
লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি
রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ
সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক
নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা
চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক
খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন
গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ
যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়
বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প
নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ
সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার
ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা
বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ
শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে
ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে
ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক
এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!
লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...
১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ
নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক
ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২
ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী
শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে
ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি
বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি
কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের
দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪
রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার
সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ
হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ
ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা
হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি
রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি
ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি

সম্পাদকীয়

সাজানো ছকে নির্বাচন!
সাজানো ছকে নির্বাচন!

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই
১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা
বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা

নগর জীবন

ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা
ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা
দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা

শোবিজ

গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে
গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক
প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস
বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা
লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন ও সাধনার জীবন
স্বপ্ন ও সাধনার জীবন

বিশেষ আয়োজন

হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি
হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে
বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা
পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে
হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি
মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ
যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ

প্রথম পৃষ্ঠা

মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও
মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও

প্রথম পৃষ্ঠা

অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি
অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল
বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়
রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ
জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না
ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হচ্ছে মামলা ও তদন্ত
হচ্ছে মামলা ও তদন্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট

পেছনের পৃষ্ঠা