শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৬, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ যে অভিযোগ করেছেন অনেকে তা নিয়ে হাসি-তামাশা করছেন। কেউ কেউ একে চলতি বছরের অন্যতম সেরা কৌতুক বলে অভিহিত করেছেন। জনাব হানিফের মূল কথা হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।  তার ভাষায় ‘ইসি আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয়।’ গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসি বিএনপির প্রতি সদয়, আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে। বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ আচরণ চাই। সেই দাবি জানাতে কমিশনে এসেছিলাম।’ ১০টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যাপারেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছে সরকারি দল। এ অভিযোগকে কৌতুক বলে অভিহিত করা হচ্ছে এবং এই কারণে যে, বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চল থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত বলেই প্রতিভাত হয়। বিএনপি নির্বিঘ্ন ভোটের গ্যারান্টি চেয়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আদরের দুলালের ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে রক্তঝরা সন্ত্রাস-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধ করতে পারছে না। বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপি-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্যে ভোট ডাকাতি আরও বেশি যশ-বৃদ্ধি হবে বলে জনমনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়ে চিঁড়া ভেজাতে চাচ্ছে, কিন্তু চিঁড়া ভিজছে না। ওসি-ডিসিরা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্দেশনা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন সরকারের স্নেহমাখা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহস পাচ্ছে না। ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারের মাইক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পথসভার স্থানে চালানো হচ্ছে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা।’ বিএনপিসহ অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের একচোখা নীতির বিরুদ্ধে বলে আসছে শুরু থেকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, ফেমাসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানও পৌরসভা নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা প্রশ্ন তুলে রেখেছে। তারা স্পষ্ট করেই বলেছে, সরকারি দলের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি আচরণবিধি ভঙ্গ করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালালেও নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৩ জন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাতে ভাটার টান শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর দুজন সংসদ সদস্যকে সতর্ক করে দিয়েই দায় সেরেছে কমিশন। অনেকে বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পরই কমিশনের মতিগতি পাল্টে যায়। তারা নমনীয় হয়ে যায় সরকারি দলের আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের প্রতি।

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায় থেকেই। অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াও দুটি বিষয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে না থাকা। একটা সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছিল সীমিত। এখন সে সংকট নেই। যথেষ্ট লোকবল থাকা সত্ত্বেও ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টি পৌরসভার নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত যে, নির্বাচন কমিশনকে এড়িয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেন এতে খবরদারি করবেন? এর উত্তর প্রশাসনের দলীয়করণের সুবিধাটা ষোলআনা তুলে নেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা। অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশে যখন যে দল সরকার পরিচালনা করছে সে দলই নিজেদের মনের মতো করে স্থানীয় প্রশাসন সাজিয়েছে। এমপি সাহেবরা নিজেদের পছন্দ মতো ওসি-টিএনও নিয়ে যান নিজেদের থানায়, ডিসি-এসপি বেছে নেন মন্ত্রী মহোদয়রা। এখন তো এমনো শোনা যায় যে, কেন্দ্র থেকেও দলানুগত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জেলা-থানায় পাঠানো হয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাধু ও নিরপেক্ষ ভূমিকা কতটুকু প্রত্যাশা করা যায়? দ্বিতীয় বিষয়টি আরও সেনসেটিভ। এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। সাংগঠনিক অবস্থা সুশৃঙ্খল ও মজবুত হলে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন নির্ধারণ হওয়া উচিত ছিল জেলা পর্যায়ে। কোথাও কোনো বিরোধ দেখা দিলে ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্র রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারত। যেহেতু এটি সরকার অদল-বদলের জাতীয় নির্বাচন নয়, সেহেতু এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন্দ্র যদি হস্তক্ষেপ করেও, প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব বিষয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন দলের কোন পর্যায়ের নেতা? ভাবুন তো সত্তরের নির্বাচনের কথা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত মনোনীত প্রার্থীদের যে পরিচিতি চিঠি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল তা কি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরে? না। চিঠি গিয়েছিল দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লার স্বাক্ষরে। দল ছিল সংহত, সুনিয়ন্ত্রিত। জনসমর্থন ছিল ‘দিগন্তপ্লাবিত’। তাই এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর নাম ‘ব্যবহারের’ কৌশল প্রয়োগ করতে হয়নি। এরপরও দেশে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমন কাজ করার প্রয়োজন কেউ-ই অনুভব করেনি। পৌরসভার নির্বাচন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্তর। এখানে দলের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষরটা এত প্রয়োজনীয় হয়ে গেল কেন? কেউ কেউ বলেন, দলীয় প্রধান যদি সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বিষয়টি ভিন্নভাবে ভাবা হতো। এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর। কঠোরভাবে বিষয়টির সমালোচনা হচ্ছে এই কারণে যে, সরকারি দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি বিব্রতকর অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার জন্য পরামর্শকরা হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্যই একটা চরম বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা (যারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট) কী করবেন এখন? সরকার দলীয় প্রার্থীকে এখন ভাবা হচ্ছে সরকারি প্রার্থী হিসেবে। সরকারি প্রার্থী পরাজিত হলে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত হতেই পারেন। ফলে তাদের তো দ্বিতীয় চিন্তার সুযোগ কম। এমতাবস্থায় এ অভিযোগ জোরালো হতেই পারে যে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই পৌর মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে (প্রায় ৭৫%) প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর নির্বাচনী দায়িত্ব অর্পণ এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ন— একটির সঙ্গে অপরটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। যে কেউ ভাবতেই পারেন যে, এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এই নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। ভোটের দিন কী হতে পারে নির্বাচনী প্রচারকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দলটির জন্য সুখকর নয়। অবিরাম তারা তা বলে চলেছেন। তারপরও তারা বলছেন ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে থাকবেন। এটি অবশ্যই একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত। আরেকটি তত্পর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে তাদের শক্তিশালী জোটমিত্র জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিশে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবে। কিন্তু তা হয়নি, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বাইরে থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৩৫টি সম্ভাবনাময় আসনে তারা মেয়র পদে লড়ছেন। এর বাইরেও তাদের প্রার্থী আছে। কোনো প্রকার আসন সমঝোতায় তারা আসেননি। বিএনপির তরফ থেকেও তাদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের যে গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সভায় জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত ছিল। প্রচার আছে যে, জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে সরকারের একটা গোপন সমঝোতা হয়েছে এবং সেই সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। তারা নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থীর ভোট কমবে— হিসাবটা এমন। কোনো কোনো পৌরসভায় যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে বিএনপি প্রার্থীর অবস্থা খুব ভালো সেখানে জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। অনেক পৌরসভায় ২-১টি কাউন্সিলর পদে সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে সরকারদলীয় প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন করছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে জামায়াতের এমন রহস্যময় ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জামায়াত তা করেনি। তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিল এবং কয়েকটি কমিশনার পদে জয়ও পেয়েছে। পাঠক, লক্ষ্য করে থাকবেন যে, পৌর নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোথাও কোথাও সংঘাতের খবর পাওয়া গেলেও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো ঘটনা ঘটার খবর এখন পর্যন্ত তেমন চোখে পড়েনি।

সরকারি দল বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গে ‘ব্র্যান্ডেড’ করে বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চিত্রিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে এবং অনেকটা পেরেছেও। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং সর্বশেষ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দূরত্ব এবং জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্কের গোপন নৈকট্যের ধারণা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব সৃষ্টি করেছিল। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, বিএনপির ঘাড় থেকে জামায়াতী ‘ভূত’ বুঝি নামল। কিন্তু কোনো এক অশুভ শক্তি বিএনপিকে বোধহয় স্থির হয়ে সম্ভাবনার সড়কে উঠতেই দিতে চাচ্ছে না। সবাই জানেন যে, বিএনপি এখন একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। হটকারী রাজনৈতিক পন্থা অনুসরণ করে, বিশেষ করে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির আবরণে যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, বিএনপি তার দায় এড়াতে পারেনি। সরকারও সাফল্যের সঙ্গে সব পেট্রলবোমা হামলা, মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, জাতীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি সব কিছুর জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী— তা জনসাধারণের শান্তিপ্রিয় অংশকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত দল এবং সহযোগী দলের প্রায় সব নেতা-কর্মী। অনেক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীও মাশুল গুনছেন দলের ভুল রাজনীতির। রাজনীতিবিদদের কোনো দলে যদি কোনো মূল্য না থাকে, পদ-পদবি দিয়ে যদি তাদের ‘স্টাফ অফিসারের’ মতো বিবেচনা করে অনুগত হেনছম্যানরূপী (Henchman) কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হয়, সেই দল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করবেই। বিএনপি কর্মচারীনির্ভর হওয়ায় চরম মাশুল দিচ্ছে। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত (গণনা পর্যন্ত) নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত বিএনপির সঠিক গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। সংগঠনটির মধ্যে একটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তৃণমূল পর্যায়ে। অবশ্য বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে বোঝার উপায় নেই যে দলটি দেশের ২২৪টি (১০টি বাতিল হয়েছে) পৌর এলাকার বিশাল কর্মযজ্ঞে মেতে আছে। ঢাকায় দলের এই করুণ দশার পেছনের কারণ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নেতিবাচক কার্যকলাপ। তারপরও সারা দেশে দল-সমর্থকদের মধ্যে একটা আশাজাগানিয়া ভাব জেগেছিল। ভাবা হচ্ছিল, এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেবে দলটি। সরকার বাহ্যিক কিছু সুযোগ তো দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন, যারা এতদিন ‘গর্তে’ ছিলেন তারা নির্বাচনী প্রচারে নামতে সাহস পাচ্ছেন, তৃণমূলের যেসব নেতা কর্মীকে যৌথবাহিনী এতদিন দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তা গত এক মাস অনেকটাই শিথিল; তারা এখন বাড়িঘরে ফিরতে পারছে, ঘুমাতে পারছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মাঠ-সংগঠন। হঠাত্ই আবার ‘উল্টা গীত’। পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনভিপ্রেত এক মন্তব্য দলটিকে আবারও এক কঠিন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে দিল। মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সমাবেশে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মীমাংসিত একটি বিষয়কে অগ্রাহ্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। অন্য সবারই কথা বাদ দিলাম, তিনি এ প্রশ্নে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকেও চ্যালেঞ্জ করলেন। ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া একটি লেখা লিখেছিলেন। ছাপা হয়েছিল সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে বহু পত্র-পত্রিকা-সংকলনে লেখাটি ছাপা হয়েছে। তাতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলেই সম্বোধন করেছেন এবং স্পষ্টভাবে ৩০ লাখ শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম লুণ্ঠিত মা-বোনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসরদের নৃশংসতাকে হালকা করে দেখার প্রবণতা হিসেবে কেউ কেউ বর্ণনা করতেই পারেন। এমন একটা সময় কেউ তাকে উসকে দিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যটি বলিয়ে নিল, যখন পাকিস্তানিরা বলছে একাত্তরে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি; যে কথা জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ প্রজন্মও বলে যাচ্ছে। এ বক্তব্যকে কেউ অবশ্য জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির শিথিল সম্পর্কটা আবার উষ্ণ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন বলে মনে করছেন। এই মহল বিএনপির এ অবস্থানকে আত্মঘাতী বলে মনে করেন। বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তারা বিষয়টি সহজভাবে নেবেন বলে মনে হয় না। পদ-পদবি, দলে মূল্যায়ন ইত্যাদি প্রশ্নে নানা কারণে অনেকে কম্প্রোমাইজ করে চলেছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ও আবেগাশ্রিত বিষয়ে সবাই মুখ বুঝে নাও থাকতে পারেন।

অনেক সমর্থকের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। এটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হবে। বেগম খালেদা জিয়া ভুল স্বীকার করে এ ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যা দিলে ভালো করবেন। যে কথায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থিরা খুশি হয়, সেই কথা বলে কোনো দলের কী লাভ?  বাংলাদেশেরই বা কী লাভ? বেগম খালেদা জিয়াকে কেউ যদি এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, এ ধরনের বক্তব্য পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর অনুকূল প্রভাব বিস্তার করবে সে পরামর্শ শুধু ভুলই নয়, সর্বনাশা। সেই সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে কেন পা রাখলেন বেগম খালেদা জিয়া?

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সর্বশেষ খবর
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে