শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৪, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকার
অনলাইন ভার্সন
স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

একাত্তরে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য এবং সাহস দেখা গিয়েছিল তা আগে বা পরে আর কখনো দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই ‘সাড়ে সাত কোটি’ বাঙালি তখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, লড়াই করেছিল, জীবনবাজি রেখেছিল। সত্যি তখন ছিল ‘এক নেতা, এক দেশ’। তখন অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি।  বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামই তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থীদেরও মানুষ ভোট দেয়নি সম্ভবত একটি রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই যে, শেখ মুজিবকে ভোট না দিলে বাঙালি তার অধিকার পাবে না। মানুষের এই আস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। এখন এই যে, কার ডাকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গেল বা কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক— এ নিয়ে যে বিতর্ক হয়, এটা একেবারেই অর্থহীন। একাত্তরে এ কথা কেউ বলেনি, এ প্রশ্ন কেউ তোলেনি। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বান ‘আমি যদি হুকুম দেওয়ার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবা’— এটাই ছিল তখন সবার কাছে বড় দিকনির্দেশনা। সে জন্য মানুষ দ্বিধাহীন চিত্তে তখন শেখ মুজিবকেই তাদের নেতা মেনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তখন বরং যারা মুজিবের বিরোধিতা করেছে সাধারণ মানুষ তাদের অপছন্দ করেছে।

মানুষের মধ্যে একাত্তরে যে শক্তি ও সাহস দেখা গেছে তার কোনো তুলনা হয় না। তখন দেখেছি কি দুঃসাহস নিয়ে মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতন কোনো কিছুকেই তারা পরোয়া করেনি। আমার এক বন্ধুকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। ভারতেও যায়নি। নিজ এলাকাতেই ছিল, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সে সহায়তা করত। পাকিস্তানি আর্মি এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে যায়। অকথ্য নির্যাতন করেও তার মুখ থেকে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। এ রকম আরও অনেকের কথা ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি, পাবে না, তারা হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কোনো দিন স্বীকৃতি পাবে না। সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ এবং ভূমিকা ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান পেলে আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা করেছেন। কেউ কেউ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে এমন দৃঢ়তা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করার এমন সাহস মানুষ কোথা থেকে পেয়েছিল সে বিষয়টি কী আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?

সাধারণ মানুষের বীরত্বগাথাকে সামনে না এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে কেউ কেউ সামরিক শক্তির জয়-পরাজয় বলে উল্লেখ করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ তো শুধু সেনাবাহিনী বা ইপিআরের কিছু সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর যুদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, জনযুদ্ধ। সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই যুদ্ধে এত সহজে জয়লাভ সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে সামরিক যুদ্ধ হিসেবে দেখার ফলে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের ভূমিকা, সক্রিয় অংশগ্রহণ সব আড়াল হয়ে যাওয়ার ফলটা ভালো হয়নি। মানুষ দেখল যে, তার ভূমিকাটা ছিনতাই হয়ে গেছে। মানুষ যে আত্মত্যাগ করেছে, যে ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে স্থান পাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী সময়ে মানুষের উত্সাহে ভাটা পড়ার এটা কি একটি বড় কারণ যে, মানুষ মনে করেছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে, নিকটজনকে হারিয়েছে, লুটপাটের কারণে সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে— এর কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। এই মানুষের কথা সেভাবে কেউ বলছে না। শুধু অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা প্রশংসিত হচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি যে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শত্রু-মিত্র ছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই। অথচ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আমরা শত্রু-মিত্রকে আলাদাভাবে বিচার করার চেষ্টা করিনি। শত্রুর বিরুদ্ধে এবং মিত্রের পক্ষে আমাদের যেভাবে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন, সেটা আমরা নেইনি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অসামান্য। সে সময় ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়ালে কত বড় বিপর্যয়ের মুখেই না আমাদের পড়তে হতো এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরাও অনেকে জীবন দিয়েছেন। যদি বলা হয়, তারা তাদের স্বার্থেই সব করেছে তাহলে বিষয়টির অতিসরলীকরণ করা হয়। এ ধরনের কথা পাকিস্তানিরা বলে থাকে। পাকিস্তান মনে করে, ভারতের উসকানিতেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা বলে না। বাংলাদেশের মানুষই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে এবং একপর্যায়ে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার জন্য ভারতবিরোধিতা ছিল শাসকগোষ্ঠীর একটি বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রতি এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা ঐতিহাসিক কারণেই কিছুটা দ্বিধা-সংশয় ছিল। বিশেষ করে ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’ যাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ওপর অতিনির্ভরতা স্বভাবতই কেউ কেউ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভারতবিরোধিতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এটা পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে হয়েছে তা নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে যারা জাসদ তৈরি করেছিলেন তারাও ভারতবিরোধী উগ্র বক্তব্য নিয়েই রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে প্রবীণ নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’-এর মতো বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার জন্য ভারতকে দায়ী করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যারা ক্ষমতাসীন হয়েছেন, বিশেষত জিয়াউর রহমান ভারতবিরোধিতার ধারাই এগিয়ে নিয়েছেন।

একাত্তর সালে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ওই সময় এ কথা কেউই বলেনি যে, শেখ মুজিব গ্রেফতার বরণ করলেন কেন? জাতিকে অসহায় অবস্থায় রেখে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার দুঃসাহস কেউ তখন দেখায়নি। এসব প্রশ্ন স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একাত্তরে আমাদের শত্রুপক্ষ জানত যে তারা পরাজিত হবে। তাই তারা একটা টার্গেট ঠিক করে নিয়েছিল। একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা পরিকল্পিতভাবে তখন থেকেই অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। পরাজিত শক্তি যে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেটা সম্ভবত একেবারেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছেও এটা স্পষ্ট ছিল না যে, দেশটা স্বাধীন হলে কী হবে বা কী করতে হবে। তারাও সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারেননি যে, তাদের ওপর কী গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধটা যে শুধু শাসক বদলের ব্যাপার ছিল না, ছিল নীতি ও আদর্শের মৌলিক পরিবর্তনের পথযাত্রা, এটাও নতুন শাসক দলের বিবেচনায় ছিল না। একটা জাতি নিরস্ত্র থাকা এবং সেই জাতির সশস্ত্র হওয়া এবং যুদ্ধ শেষে অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া— এসবের মধ্যে যে তফাত্ সেটাও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি বা বুঝতে পারেননি। মূলত নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বামদের একটা অংশ এবং মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে। আবার যারা পক্ষে ছিল তাদেরও স্বাধীনতার পর এক রাখা যায়নি। এর নানা কারণও ছিল। অংশগ্রহণকারী সবার লক্ষ্য, স্বার্থ ও উদ্দেশ্য এক ছিল না। চাওয়ার-পাওয়ার হিসাবও ছিল ভিন্ন। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দূরদর্শী হলে এক্ষেত্রে একটি সমন্বয় ঘটানো অসম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এক রাখা এবং সংহত করার কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল না। উল্টো আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে জাসদ তৈরি হলো। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, তাদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। দালালদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। যারা খুন, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত করেছিল তাদের সাধারণ ক্ষমার বাইরে রাখা হলেও কারও বিচার করা হয়নি। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের আর কোনো বিপদ নেই। কিন্তু একটা যুদ্ধের পর অর্জিত বিজয়কে সংহত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তখন মানুষের মনের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটেছিল, তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পনাই তখন করা হয়নি।

আমরা প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা যদি বলি। অথচ এগুলো যে রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়— সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু সচেতন? পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা চব্বিশ বছর সাম্প্রদায়িক আবহ ও প্রচারণার মধ্যে ছিলাম। সেই সাম্প্রদায়িক অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাতারাতি অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে— এমনটা ভাবা ঠিক হয়নি। তখন একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এ সম্ভাবনাকে স্থায়ী ভিত্তি দেওয়ার জন্য কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে হিন্দুরাই বেশি। ভারতে আশ্রিত এক কোটি শরণার্থীর মধ্যে নব্বই লাখই ছিল হিন্দু। দ্বিজাতিতত্ত্বকে বাতিল করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা ইত্যাদি কারণে শরণার্থী শিবির থেকে প্রত্যাগত হিন্দুদের কেউ কেউ হয়তো আচার-আচরণে এমন ভাব দেখিয়েছিলেন যেটা দেশের ভিতরে অবস্থানকারী মুসলমানদের আহত করেছে। ওই সময় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের গোচরে আসেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে, পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। এ বিষয়গুলো মানুষ আত্মস্থ করছে কিনা, প্রাত্যহিক জীবনাচরণে মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করছে কিনা সেটা আমরা তলিয়ে দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সরকার এবং আওয়ামী লীগও সংবিধানের মূলনীতিগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রে চর্চার তেমন উদ্যোগ নেয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা সংবিধানের মূলনীতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাহাত্তর সালের শুরু থেকেই গ্রাম-গঞ্জে-শহরে মসজিদ-মাদ্রাসায় সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের এ সংগঠিত প্রচারণার খবরও হয়তো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তির জানা ছিল না। মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের জন্য স্বাধীনতার পর যেসব উদ্যোগ গ্রহণের দরকার ছিল, বিশেষত সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল তার কোনোটাই তখন করা হয়নি। একদিকে ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে, অন্যদিকে বলা হবে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত করব— সেটা হয় না। নানা ক্ষেত্রেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। এ অসঙ্গতিগুলোর পরিণতি হলো আজকের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হলেও পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার প্রবল হতে থাকে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে চায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না কেউই। ধর্ম ও রাজনীতির পৃথক অবস্থান এখন অনেকটাই যেন একাডেমিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিরই এ ব্যাপারে ব্যর্থতা রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের অনুদারতার সমালোচনা করে আত্মসুখ লাভের চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারেন, তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।  যুদ্ধোত্তর দেশে এবং পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাম প্রগতিশীল শক্তির নিজ নিজ ভূমিকারও পুনর্মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার পরিবর্তে দোষারোপের পথে হেঁটে একাত্তরের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটানো সম্ভব হবে না।

     লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
সর্বশেষ খবর
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন

২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়
হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা
তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত
ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০
লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি
রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ
সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক
নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা
চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক
খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন
গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ
যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়
বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প
নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ
সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার
ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা
বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ
শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে
ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে
ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক
এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!
লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...
১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ
নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক
ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২
ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী
শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে
ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি
বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি
কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের
দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪
রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার
সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ
হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ
ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা
হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি
রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি
ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি

সম্পাদকীয়

সাজানো ছকে নির্বাচন!
সাজানো ছকে নির্বাচন!

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই
১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা
বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা

নগর জীবন

ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা
ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা
দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা

শোবিজ

গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে
গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক
প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস
বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা
লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন ও সাধনার জীবন
স্বপ্ন ও সাধনার জীবন

বিশেষ আয়োজন

হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি
হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে
বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা
পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে
হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি
মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ
যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ

প্রথম পৃষ্ঠা

মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও
মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও

প্রথম পৃষ্ঠা

অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি
অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল
বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়
রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ
জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না
ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হচ্ছে মামলা ও তদন্ত
হচ্ছে মামলা ও তদন্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট

পেছনের পৃষ্ঠা