শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৩২, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

পৌর ভোট হাসিনা-খালেদার মর্যাদার লড়াই

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
পৌর ভোট হাসিনা-খালেদার মর্যাদার লড়াই

পৌর নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। হিংসা-হানাহানি, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, গুম-গণগ্রেফতার নিত্যদিনের এমন সব খারাপ খবর ছাপিয়ে ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচনী জোয়ারের খবর অবশ্যই ভালো খবর। এই নির্বাচন সরকার অদল-বদলের নির্বাচন নয়, তবুও হাটে-মাঠে, শহরে-নগরে-বন্দরে সর্বত্র এখন এটাই আলোচনার মুখ্য বিষয়। এই আলোচনা দেশের সীমানা যেমন পেরিয়েছে, তেমনি দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত  বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরাই শুধু নয়, এর প্রতি গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও তীক্ষ নজর রেখেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার এমন আগ্রহের কারণও আছে।

পৌর নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচন এত দিন নির্দলীয়ভাবেই হওয়ার বিধান ছিল। এবারই পৌর নির্বাচনে এর ব্যত্যয় ঘটল। নির্বাচনটি হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে, দলীয় প্রতীকে— যদিও মেয়র ছাড়া কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে। কিন্তু মেয়র পদে দলীয়ভাবে দলীয় মনোনয়ন এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন গোটা পৌর নির্বাচনের চরিত্রই পাল্টে দিয়েছে। কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে আলাদা প্রতীকে নির্বাচন হলেও এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার হাল-হকিকত দেখে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, কাউন্সিলর পদের নির্বাচনও দলভিত্তিক ‘নির্বাচনী জ্বরে’ আক্রান্ত। দলের বাইরে থেকে অনেকে নির্বাচন করছেন সত্য, কিন্তু আগে যেমন প্রকৃত অর্থেই নির্দল, সৎ, যোগ্য ভালো মানুষরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতেন, এবার প্রধান দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়া কোথাও মেয়র-কাউন্সিলর পদে সে রকম প্রার্থী চোখে পড়ার মতো নেই। কাউন্সিলর পদেও দলীয় লোকেরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশেষ করে প্রধান দুই দলে। মেয়র পদের মতো কাউন্সিলর পদে ঘোষণা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলেও স্থানীয়ভাবে দল থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ‘স্বতন্ত্র’ভাবে কারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। এই ক্ষেত্রেও বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কাউন্সিলর পদে ‘স্বতন্ত্র’ দলীয় প্রার্থী ঠিক করার সময় লক্ষ্য রাখা হয়েছে কার জেতার সম্ভাবনা আছে এবং দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বেশি ভোট ‘টানতে’ পারবেন। দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলরে নির্বাচনী প্রচার চলছে একযোগে একসঙ্গে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টি ষোলোআনা সত্য। আরও বড় সত্য হচ্ছে, পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগে। অনেকেই একে বিবেচনা করছেন দুই দলের প্রধান দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মর্যাদার লড়াই হিসেবে। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি এখন সংসদে নেই। নানা রাজনৈতিক ভুলভ্রান্তি করে দলটি এখন বিপর্যস্ত। বিপুল জনসমর্থন আছে, কিন্তু তা ক্যাশ করার মতো সাংগঠনিক শক্তি এখন আর আগের মতো নেই। দলটি পরিচালিত হয় কিছু কর্মচারী দ্বারা। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল; কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, রাজনীতিবিদদের দলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ তো নেই-ই, তাদের যথাযথ মর্যাদাও নেই বলে কঠোর সমালোচনা হয়। বিভিন্ন পদ-পদবি দেওয়া হয়েছে কাউকে কাউকে, মাঝে মাঝে তারা ‘আওয়াজ’ দিয়ে বোঝাতে চান যে তারা আছেন; কিন্তু কেমন আছেন তা বলা তাদের জন্য সম্মানজনক হবে না। যেসব কর্মচারীর মাধ্যমে দল চালানোর খবর পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে তাদের নাম মিডিয়ায়ও আসে। অনেকেই তাদের চেনেন। এরা কেউ বিএনপি রাজনীতির আদি লোক নন। কেউ কেউ বিএনপিবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপির ‘থিংক ট্যাংক’-এও ঢুকে পড়েছে এমন সব লোক। এমন বিপজ্জনক লোকও ঢুকেছে, তারা যখন যার সঙ্গে ছিল তাকে ডুবিয়ে এসেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে লুণ্ঠন সংস্কৃতি, দুর্বৃত্তায়ন এবং কারও কারও দুর্বিনীত আচরণ দলটির সর্বনাশ করেছে অনেকাংশে। এমতাবস্থায় বিলম্বে হলেও পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি কার্যত দলটিকেই অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। হাজার হাজার কর্মী নাশকতার মামলায় কারারুদ্ধ, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত। দলের সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া, দিশাহারা। প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের উদ্দেশ্য যা-ই থাক, এই নির্বাচন বিএনপিকে ‘শ্বাস ফেলার’ একটা সুযোগ দিয়েছে। গণতান্ত্রিক একটি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের স্পেস দিয়েছে। শুরুর দিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহরা যেভাবে এই নির্বাচনকে ‘বাকশাল কায়েমের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছিলেন, কেউ কেউ আঁতকে উঠেছিলেন এই ভেবে যে, তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠিত হওয়ার এই সুযোগটি বিএনপির হাতছাড়া করানোর নতুন কোনো ষড়যন্ত্র বুঝি শুরু হয়েছে; আবার এই নির্বাচনও বর্জন-প্রতিহত করার নামে দলটিকে পঙ্গু করে দেওয়ার কোনো নতুন খেলা বুঝি এটা। যাই হোক, পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় সেই সর্বনাশা পদে পা দেয়নি দলটি। এই জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন সর্বত্র।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দুটি বিষয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল প্রথমে। এখন আর সেই সমালোচনা নেই, ভিন্ন সমালোচনা চলছে। সমালোচনার প্রথম বিষয়টি ছিল, সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও কোনো ধরনের আলোচনা না করে সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলল কেন? আমাদের সবারই মনে থাকার কথা যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, মিডিয়ার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সমালোচনাটি ছিল, তৃণমূলে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়ে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনও কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার প্রয়োজনবোধ করেনি। অথচ ইতিপূর্বে নির্বাচনের (জাতীয়) আচরণবিধি প্রণয়নের আগে নির্বাচন কমিশন ‘স্টেকহোল্ডার’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল, মতামত নিয়েছিল। সমালোচকরা বলছেন, সমালোচনার দুটি বিষয় একটির সঙ্গে অপরটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ দলীয় ভিত্তিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কথা সরকার আগে ভেবেছে, দ্বিতীয়টি পরে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেয়র-কাউন্সিলর সব পদেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। কিন্তু কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার পদে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারটি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। স্বল্প সময়ে এই কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব বিধায় কাউন্সিলর ও মেম্বার পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের আইডিয়া পরিত্যাগ করা হয়েছে। সরকারি দলের নেতারাই এই কথা বলেছেন। আবার দলীয় প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থীদের মাধ্যমে দলের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা যাবে। আগে নির্দলীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতেন। দলীয় প্রার্থী জিতলেও তাকে দলের পক্ষে জনসমর্থন বলে দাবি করার আইনগত সুযোগ ছিল না। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে দলের জনসমর্থন বা জনপ্রিয়তা প্রমাণের আইনগত ভিত্তি আছে। এই ভিত্তিটা কেন প্রয়োজন হলো সরকারের? জবাবটা কঠিন নয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ থেকে শেষ ধাপ এবং তিন সিটি নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি ও ভোটবিহীন নির্বাচন সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশে এবং বিদেশে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার ও সরকারি দলই নানা ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে নির্বাচন জিতে নেয় ক্ষমতার দর্পে। কিন্তু তাতে তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ হয় না। এতে তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যেমন একটা চাপের মধ্যে থাকে, উপরে উপরে যতই শক্তিশালী ভাব দেখাক না কেন, মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বলতা ও নিরাপত্তাহীনতায়ও ভোগে। তখন তারা গ্রাম-ইউনিয়ন ও থানায় একটা ভিত গড়তে চায় স্থানীয় সরকারকে কব্জা করে। দলীয় প্রতীকে মেয়র-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কাউন্সিলর-মেম্বাররা খুব কম ক্ষেত্রেই মেয়র-চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে যাবে; কেননা সেখানে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় থাকে। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এই নিবন্ধে আমরা না-ই বা করলাম। এবার অবশ্য দলের বাইরে কাউন্সিলর-মেম্বার হওয়ার সুযোগও কম। সরকার এ সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলেই অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। এর মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে যাদের মনে সরকারের জনসমর্থন নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাদের বোঝাতে চায়, তাদের বিপুল জনসমর্থন আছে। সরকারদলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে তৃণমূলে একটা সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মাধ্যমে যেমন দলীয় ভিত্তি গড়তে চায়, অপরদিকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে জিতে দলের জনসমর্থন-জনপ্রিয়তা প্রমাণের আইনি সুযোগটিও নিতে চায়। দ্বিতীয় বিষয়টির বিশ্লেষণ অতি সিম্পল। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত, কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত এবং বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী ১৫ দিনও নির্বাচনের সময় না পেছানোর কারণ বিরোধী দল তথা বিএনপিকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া। জনগণের মনের অবস্থা বিবেচনায় বলা চলে, দেশে যে কোনো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে তাতে বিএনপির ফলাফল ভালো হওয়ার কথা। এর অর্থ এই নয় যে, সুনীতি, সুকর্মের কারণে জনগণ বিএনপির পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বে। সাত বছরের শাসনে দেশে নানা অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, গুম, অপহরণ, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি নানা অপরাধের বিস্তৃতিতে জনগণের লীগবিরোধী মনোভাবই বিএনপির জন্য একটি সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে রেখেছে। সরকার ও সরকারি দলও তা অবশ্যই জানে। তাই সুযোগটা যাতে ষোলোআনা বিএনপি কাজে লাগাতে না পারে সে জন্যই সরকারের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর ছিল সময়ের ব্যাপারে।

প্রশ্ন আসতে পারে, সরকার যদি এতই অজনপ্রিয়, জনসমর্থনহীন হয়, তাহলে তাদের প্রার্থীরা তো হেরে যেতে পারে। পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট লোকবল এবং সেখানে দলানুগত লোকজন থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ পৌরসভায় নির্বাচন তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করবেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ভাষায় ‘ওসি-ডিসি’রা। বিরোধীরা স্পষ্ট করে বলছেন, সরকারের উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার। এর আগে যে কটি খারাপ নির্বাচনের উদাহরণ দিয়েছে তাতে এসব কর্তাবাবু কী করেছেন তার সচিত্র অনেক প্রতিবেদনই মিডিয়াতে এসেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের দেখভাল করা ইমানি দায়িত্ব বলে ভাবতে পারেন তারা। অতীতে অন্য সরকারের আমলেও দেখা গেছে যে, স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা তাদের ‘পছন্দ দিয়ে’ স্বীয় থানায় ওসি, টিএনও পোস্টিং করান। অনেক ক্ষেত্রে ডিসি-এসপিও স্ব স্ব জেলার মন্ত্রীরা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে তদবির করে নিয়ে যান। জেলা মন্ত্রী থাকাকালীন (বিএনপি-জাপা আমলে) এমন কাজ হরহামেশাই হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দলীয় বিবেচনায় পোস্টিং ট্রান্সফারের বিষয় বহুল আলোচিত। এমন ক্ষেত্রে দুটি আশঙ্কা কাজ করে। প্রথমটি সরকারি দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হেরে গেলে ওই থানার ওসি, টিএনও, শিক্ষা অফিসার, জেলার ডিসি এসপির কী দশা হবে? তারা কি আর সরকারের আনুকূল্য পাবেন? স্বীয় জায়গায় বহাল থাকা বা খারাপ কোনো জায়গায় ট্রান্সফার-পোস্টিংয়ের আতঙ্ক তাদের তাড়া করবে না? শুধু কি দলীয় প্রার্থী আর দলীয় প্রতীক? সরকারি দলের সব মেয়র প্রার্থী শুধু আওয়ামী লীগেরই নয়, আওয়ামী লীগের সব মেয়র প্রার্থীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরা পৌর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন প্রত্যয়নের দায়িত্বটি দলের আরও নিম্ন পর্যায়ের (এমনকি সাধারণ সম্পাদকও নন) কারও ওপর ন্যস্ত থাকলেই ভালো হতো। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। বলুন তো, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীদের নিয়ে ওসি-ডিসিরা এখন কী করবেন? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের যারা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবেন তাদের এই বলে আশ্বস্ত করা এবং অভয় দেওয়া দরকার যে, কেউ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে সেখানে সরকারি দলের প্রার্থী পরাজিত হলেও অসুবিধা হবে না।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনটা কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় আছে। ‘সুজন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বদিউল আলম মজুমদার এবং অন্য বক্তারা এমন সংশয়ের কথা বলেছেন। ৬ জন মেয়র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া এবং একটি জেলার তিনটি পৌরসভার ৪৮ জন কমিশনার প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা মানুষের মনে নানা প্রশ্ন তো জাগতেই পারে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, সরকারি দলের লোকজনের আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় থাকা, অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে নির্বাচন কমিশনের ‘মারমুখী’ কথা— সবকিছু নিয়ে চতুর্দিকে কথাই শুধু বাড়ছে। গণপ্রত্যাশা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ও দলের স্বার্থ বিবেচনায় হলেও বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক যে স্পেসটুকু দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সংকুচিত করে নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়াকে এ নির্বাচনে এখনো বেশ সিরিয়াসই মনে হচ্ছে। এর মাধ্যমে তিনি সরকারের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেই মনে হয়। সরকার ভাবতেই পারে, বেগম জিয়ার শক্তির উৎস কী? শুধুই জনগণ নাকি আরও কিছু, আরও কেউ? প্রশাসন নিয়ে নতুন কোনো দুশ্চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে না তো সরকার? দেশের পরিস্থিতি জনগণের মতিগতি আগেভাগে আন্দাজ করে গণবিরোধী প্রশাসনও কখনো কখনো জনবান্ধব হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা, জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনার যে খবর জানা যাচ্ছে তা থেকে বলা যায় যে, এ নির্বাচন প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ব্যালট যুদ্ধই শুধু নয়, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মর্যাদার লড়াইও। নির্বাচন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন হয়তো এই ভেবে যে, দ্বিতীয়জন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহস দেখাবেন না। বেগম জিয়া সাহস দেখালেন এবং চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করলেন। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। দেখা যাক, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সৌন্দর্য অটুট থাকে কিনা! একটা কথা বলা দরকার যে, এ নির্বাচনে বেগম জিয়ার হারানোর কিছু নেই। নির্বাচনে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষমতা হারাবেন না। খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়ে চ্যালেঞ্জ বাউটে হোক না পারস্পরিক মোকাবিলা। দুই নেত্রীর মর্যাদার এ লড়াই যদি গণতন্ত্রের লড়াই হয়, তাতে কে হারলেন আর কে জিতলেন সেটা বড় বিষয় হবে না, বড় বিষয় হবে গণতন্ত্র জিতল এবং দুই নেত্রী মিলে নব্বইয়ের মতো গণতন্ত্রকেই জিতিয়ে দিলেন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
সর্বশেষ খবর
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন

২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়
হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা
তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত
ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০
লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি
রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ
সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক
নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা
চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক
খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন
গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ
যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়
বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প
নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ
সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার
ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা
বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ
শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে
ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে
ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক
এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!
লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...
১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ
নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক
ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২
ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী
শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে
ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি
বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি
কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের
দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪
রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার
সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ
হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ
ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা
হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি
রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি
ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি

সম্পাদকীয়

সাজানো ছকে নির্বাচন!
সাজানো ছকে নির্বাচন!

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই
১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা
বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা

নগর জীবন

ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা
ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা
দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা

শোবিজ

গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে
গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক
প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস
বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা
লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন ও সাধনার জীবন
স্বপ্ন ও সাধনার জীবন

বিশেষ আয়োজন

হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি
হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে
বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা
পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে
হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি
মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ
যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ

প্রথম পৃষ্ঠা

মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও
মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও

প্রথম পৃষ্ঠা

অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি
অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল
বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়
রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ
জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না
ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হচ্ছে মামলা ও তদন্ত
হচ্ছে মামলা ও তদন্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট

পেছনের পৃষ্ঠা