শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৩২, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

পৌর ভোট হাসিনা-খালেদার মর্যাদার লড়াই

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
পৌর ভোট হাসিনা-খালেদার মর্যাদার লড়াই

পৌর নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। হিংসা-হানাহানি, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, গুম-গণগ্রেফতার নিত্যদিনের এমন সব খারাপ খবর ছাপিয়ে ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচনী জোয়ারের খবর অবশ্যই ভালো খবর। এই নির্বাচন সরকার অদল-বদলের নির্বাচন নয়, তবুও হাটে-মাঠে, শহরে-নগরে-বন্দরে সর্বত্র এখন এটাই আলোচনার মুখ্য বিষয়। এই আলোচনা দেশের সীমানা যেমন পেরিয়েছে, তেমনি দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত  বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরাই শুধু নয়, এর প্রতি গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও তীক্ষ নজর রেখেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার এমন আগ্রহের কারণও আছে।

পৌর নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচন এত দিন নির্দলীয়ভাবেই হওয়ার বিধান ছিল। এবারই পৌর নির্বাচনে এর ব্যত্যয় ঘটল। নির্বাচনটি হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে, দলীয় প্রতীকে— যদিও মেয়র ছাড়া কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে। কিন্তু মেয়র পদে দলীয়ভাবে দলীয় মনোনয়ন এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন গোটা পৌর নির্বাচনের চরিত্রই পাল্টে দিয়েছে। কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে আলাদা প্রতীকে নির্বাচন হলেও এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার হাল-হকিকত দেখে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, কাউন্সিলর পদের নির্বাচনও দলভিত্তিক ‘নির্বাচনী জ্বরে’ আক্রান্ত। দলের বাইরে থেকে অনেকে নির্বাচন করছেন সত্য, কিন্তু আগে যেমন প্রকৃত অর্থেই নির্দল, সৎ, যোগ্য ভালো মানুষরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতেন, এবার প্রধান দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়া কোথাও মেয়র-কাউন্সিলর পদে সে রকম প্রার্থী চোখে পড়ার মতো নেই। কাউন্সিলর পদেও দলীয় লোকেরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশেষ করে প্রধান দুই দলে। মেয়র পদের মতো কাউন্সিলর পদে ঘোষণা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলেও স্থানীয়ভাবে দল থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ‘স্বতন্ত্র’ভাবে কারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। এই ক্ষেত্রেও বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কাউন্সিলর পদে ‘স্বতন্ত্র’ দলীয় প্রার্থী ঠিক করার সময় লক্ষ্য রাখা হয়েছে কার জেতার সম্ভাবনা আছে এবং দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বেশি ভোট ‘টানতে’ পারবেন। দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলরে নির্বাচনী প্রচার চলছে একযোগে একসঙ্গে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টি ষোলোআনা সত্য। আরও বড় সত্য হচ্ছে, পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগে। অনেকেই একে বিবেচনা করছেন দুই দলের প্রধান দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মর্যাদার লড়াই হিসেবে। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি এখন সংসদে নেই। নানা রাজনৈতিক ভুলভ্রান্তি করে দলটি এখন বিপর্যস্ত। বিপুল জনসমর্থন আছে, কিন্তু তা ক্যাশ করার মতো সাংগঠনিক শক্তি এখন আর আগের মতো নেই। দলটি পরিচালিত হয় কিছু কর্মচারী দ্বারা। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল; কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, রাজনীতিবিদদের দলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ তো নেই-ই, তাদের যথাযথ মর্যাদাও নেই বলে কঠোর সমালোচনা হয়। বিভিন্ন পদ-পদবি দেওয়া হয়েছে কাউকে কাউকে, মাঝে মাঝে তারা ‘আওয়াজ’ দিয়ে বোঝাতে চান যে তারা আছেন; কিন্তু কেমন আছেন তা বলা তাদের জন্য সম্মানজনক হবে না। যেসব কর্মচারীর মাধ্যমে দল চালানোর খবর পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে তাদের নাম মিডিয়ায়ও আসে। অনেকেই তাদের চেনেন। এরা কেউ বিএনপি রাজনীতির আদি লোক নন। কেউ কেউ বিএনপিবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপির ‘থিংক ট্যাংক’-এও ঢুকে পড়েছে এমন সব লোক। এমন বিপজ্জনক লোকও ঢুকেছে, তারা যখন যার সঙ্গে ছিল তাকে ডুবিয়ে এসেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে লুণ্ঠন সংস্কৃতি, দুর্বৃত্তায়ন এবং কারও কারও দুর্বিনীত আচরণ দলটির সর্বনাশ করেছে অনেকাংশে। এমতাবস্থায় বিলম্বে হলেও পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি কার্যত দলটিকেই অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। হাজার হাজার কর্মী নাশকতার মামলায় কারারুদ্ধ, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত। দলের সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া, দিশাহারা। প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের উদ্দেশ্য যা-ই থাক, এই নির্বাচন বিএনপিকে ‘শ্বাস ফেলার’ একটা সুযোগ দিয়েছে। গণতান্ত্রিক একটি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের স্পেস দিয়েছে। শুরুর দিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহরা যেভাবে এই নির্বাচনকে ‘বাকশাল কায়েমের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছিলেন, কেউ কেউ আঁতকে উঠেছিলেন এই ভেবে যে, তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠিত হওয়ার এই সুযোগটি বিএনপির হাতছাড়া করানোর নতুন কোনো ষড়যন্ত্র বুঝি শুরু হয়েছে; আবার এই নির্বাচনও বর্জন-প্রতিহত করার নামে দলটিকে পঙ্গু করে দেওয়ার কোনো নতুন খেলা বুঝি এটা। যাই হোক, পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় সেই সর্বনাশা পদে পা দেয়নি দলটি। এই জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন সর্বত্র।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দুটি বিষয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল প্রথমে। এখন আর সেই সমালোচনা নেই, ভিন্ন সমালোচনা চলছে। সমালোচনার প্রথম বিষয়টি ছিল, সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও কোনো ধরনের আলোচনা না করে সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলল কেন? আমাদের সবারই মনে থাকার কথা যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, মিডিয়ার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সমালোচনাটি ছিল, তৃণমূলে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়ে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনও কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার প্রয়োজনবোধ করেনি। অথচ ইতিপূর্বে নির্বাচনের (জাতীয়) আচরণবিধি প্রণয়নের আগে নির্বাচন কমিশন ‘স্টেকহোল্ডার’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল, মতামত নিয়েছিল। সমালোচকরা বলছেন, সমালোচনার দুটি বিষয় একটির সঙ্গে অপরটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ দলীয় ভিত্তিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কথা সরকার আগে ভেবেছে, দ্বিতীয়টি পরে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেয়র-কাউন্সিলর সব পদেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। কিন্তু কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার পদে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারটি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। স্বল্প সময়ে এই কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব বিধায় কাউন্সিলর ও মেম্বার পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের আইডিয়া পরিত্যাগ করা হয়েছে। সরকারি দলের নেতারাই এই কথা বলেছেন। আবার দলীয় প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থীদের মাধ্যমে দলের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা যাবে। আগে নির্দলীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতেন। দলীয় প্রার্থী জিতলেও তাকে দলের পক্ষে জনসমর্থন বলে দাবি করার আইনগত সুযোগ ছিল না। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে দলের জনসমর্থন বা জনপ্রিয়তা প্রমাণের আইনগত ভিত্তি আছে। এই ভিত্তিটা কেন প্রয়োজন হলো সরকারের? জবাবটা কঠিন নয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ থেকে শেষ ধাপ এবং তিন সিটি নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি ও ভোটবিহীন নির্বাচন সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশে এবং বিদেশে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার ও সরকারি দলই নানা ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে নির্বাচন জিতে নেয় ক্ষমতার দর্পে। কিন্তু তাতে তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ হয় না। এতে তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যেমন একটা চাপের মধ্যে থাকে, উপরে উপরে যতই শক্তিশালী ভাব দেখাক না কেন, মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বলতা ও নিরাপত্তাহীনতায়ও ভোগে। তখন তারা গ্রাম-ইউনিয়ন ও থানায় একটা ভিত গড়তে চায় স্থানীয় সরকারকে কব্জা করে। দলীয় প্রতীকে মেয়র-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কাউন্সিলর-মেম্বাররা খুব কম ক্ষেত্রেই মেয়র-চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে যাবে; কেননা সেখানে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় থাকে। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এই নিবন্ধে আমরা না-ই বা করলাম। এবার অবশ্য দলের বাইরে কাউন্সিলর-মেম্বার হওয়ার সুযোগও কম। সরকার এ সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলেই অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। এর মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে যাদের মনে সরকারের জনসমর্থন নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাদের বোঝাতে চায়, তাদের বিপুল জনসমর্থন আছে। সরকারদলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে তৃণমূলে একটা সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মাধ্যমে যেমন দলীয় ভিত্তি গড়তে চায়, অপরদিকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে জিতে দলের জনসমর্থন-জনপ্রিয়তা প্রমাণের আইনি সুযোগটিও নিতে চায়। দ্বিতীয় বিষয়টির বিশ্লেষণ অতি সিম্পল। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত, কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত এবং বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী ১৫ দিনও নির্বাচনের সময় না পেছানোর কারণ বিরোধী দল তথা বিএনপিকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া। জনগণের মনের অবস্থা বিবেচনায় বলা চলে, দেশে যে কোনো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে তাতে বিএনপির ফলাফল ভালো হওয়ার কথা। এর অর্থ এই নয় যে, সুনীতি, সুকর্মের কারণে জনগণ বিএনপির পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বে। সাত বছরের শাসনে দেশে নানা অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, গুম, অপহরণ, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি নানা অপরাধের বিস্তৃতিতে জনগণের লীগবিরোধী মনোভাবই বিএনপির জন্য একটি সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে রেখেছে। সরকার ও সরকারি দলও তা অবশ্যই জানে। তাই সুযোগটা যাতে ষোলোআনা বিএনপি কাজে লাগাতে না পারে সে জন্যই সরকারের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর ছিল সময়ের ব্যাপারে।

প্রশ্ন আসতে পারে, সরকার যদি এতই অজনপ্রিয়, জনসমর্থনহীন হয়, তাহলে তাদের প্রার্থীরা তো হেরে যেতে পারে। পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট লোকবল এবং সেখানে দলানুগত লোকজন থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ পৌরসভায় নির্বাচন তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করবেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ভাষায় ‘ওসি-ডিসি’রা। বিরোধীরা স্পষ্ট করে বলছেন, সরকারের উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার। এর আগে যে কটি খারাপ নির্বাচনের উদাহরণ দিয়েছে তাতে এসব কর্তাবাবু কী করেছেন তার সচিত্র অনেক প্রতিবেদনই মিডিয়াতে এসেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের দেখভাল করা ইমানি দায়িত্ব বলে ভাবতে পারেন তারা। অতীতে অন্য সরকারের আমলেও দেখা গেছে যে, স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা তাদের ‘পছন্দ দিয়ে’ স্বীয় থানায় ওসি, টিএনও পোস্টিং করান। অনেক ক্ষেত্রে ডিসি-এসপিও স্ব স্ব জেলার মন্ত্রীরা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে তদবির করে নিয়ে যান। জেলা মন্ত্রী থাকাকালীন (বিএনপি-জাপা আমলে) এমন কাজ হরহামেশাই হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দলীয় বিবেচনায় পোস্টিং ট্রান্সফারের বিষয় বহুল আলোচিত। এমন ক্ষেত্রে দুটি আশঙ্কা কাজ করে। প্রথমটি সরকারি দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হেরে গেলে ওই থানার ওসি, টিএনও, শিক্ষা অফিসার, জেলার ডিসি এসপির কী দশা হবে? তারা কি আর সরকারের আনুকূল্য পাবেন? স্বীয় জায়গায় বহাল থাকা বা খারাপ কোনো জায়গায় ট্রান্সফার-পোস্টিংয়ের আতঙ্ক তাদের তাড়া করবে না? শুধু কি দলীয় প্রার্থী আর দলীয় প্রতীক? সরকারি দলের সব মেয়র প্রার্থী শুধু আওয়ামী লীগেরই নয়, আওয়ামী লীগের সব মেয়র প্রার্থীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরা পৌর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন প্রত্যয়নের দায়িত্বটি দলের আরও নিম্ন পর্যায়ের (এমনকি সাধারণ সম্পাদকও নন) কারও ওপর ন্যস্ত থাকলেই ভালো হতো। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। বলুন তো, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীদের নিয়ে ওসি-ডিসিরা এখন কী করবেন? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের যারা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবেন তাদের এই বলে আশ্বস্ত করা এবং অভয় দেওয়া দরকার যে, কেউ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে সেখানে সরকারি দলের প্রার্থী পরাজিত হলেও অসুবিধা হবে না।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনটা কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় আছে। ‘সুজন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বদিউল আলম মজুমদার এবং অন্য বক্তারা এমন সংশয়ের কথা বলেছেন। ৬ জন মেয়র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া এবং একটি জেলার তিনটি পৌরসভার ৪৮ জন কমিশনার প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা মানুষের মনে নানা প্রশ্ন তো জাগতেই পারে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, সরকারি দলের লোকজনের আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় থাকা, অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে নির্বাচন কমিশনের ‘মারমুখী’ কথা— সবকিছু নিয়ে চতুর্দিকে কথাই শুধু বাড়ছে। গণপ্রত্যাশা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ও দলের স্বার্থ বিবেচনায় হলেও বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক যে স্পেসটুকু দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সংকুচিত করে নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়াকে এ নির্বাচনে এখনো বেশ সিরিয়াসই মনে হচ্ছে। এর মাধ্যমে তিনি সরকারের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেই মনে হয়। সরকার ভাবতেই পারে, বেগম জিয়ার শক্তির উৎস কী? শুধুই জনগণ নাকি আরও কিছু, আরও কেউ? প্রশাসন নিয়ে নতুন কোনো দুশ্চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে না তো সরকার? দেশের পরিস্থিতি জনগণের মতিগতি আগেভাগে আন্দাজ করে গণবিরোধী প্রশাসনও কখনো কখনো জনবান্ধব হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা, জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনার যে খবর জানা যাচ্ছে তা থেকে বলা যায় যে, এ নির্বাচন প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ব্যালট যুদ্ধই শুধু নয়, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মর্যাদার লড়াইও। নির্বাচন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন হয়তো এই ভেবে যে, দ্বিতীয়জন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহস দেখাবেন না। বেগম জিয়া সাহস দেখালেন এবং চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করলেন। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। দেখা যাক, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সৌন্দর্য অটুট থাকে কিনা! একটা কথা বলা দরকার যে, এ নির্বাচনে বেগম জিয়ার হারানোর কিছু নেই। নির্বাচনে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষমতা হারাবেন না। খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়ে চ্যালেঞ্জ বাউটে হোক না পারস্পরিক মোকাবিলা। দুই নেত্রীর মর্যাদার এ লড়াই যদি গণতন্ত্রের লড়াই হয়, তাতে কে হারলেন আর কে জিতলেন সেটা বড় বিষয় হবে না, বড় বিষয় হবে গণতন্ত্র জিতল এবং দুই নেত্রী মিলে নব্বইয়ের মতো গণতন্ত্রকেই জিতিয়ে দিলেন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সর্বশেষ খবর
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে